Cvoice24.com

তিন মাসে ৮৩ লাখ ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
তিন মাসে ৮৩ লাখ ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব

ইউটিউব হলো গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফ্যাবেটের অধীনে পরিচালিত কোম্পানি। সহিংস এবং আক্রমণাত্মক ভিডিও সরাতে ইন্টারনেটভিত্তিক যেসব কোম্পানিগুলো জাতীয় সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিযনের চাপের মুখে রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউবও একটি।

গার্ডিয়ান জানায়, উগ্রপন্থী ও নৃশংস ভিডিও পোস্ট করা ঠেকানোর অক্ষমতা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে থাকা ইউটিউব সম্প্রতি তাদের প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইউটিউবের দাবি, সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এ প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকে সহিংস কন্টেন্ট মুছে ফেলতে ইউটিউব যে অগ্রগতি করেছে তা এ প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে বলেও দাবি করেছে কোম্পানিটি।

একটি ব্লগপোস্টে ইউটিউব জানায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ৮০ লাখেরও বেশি ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব। পোস্টে আরও বলা হয়, এ ৮০ লাখ ভিডিওর একটা বড় অংশ স্পাম কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট। আপলোড করার চেষ্টার সময় এগুলো শনাক্ত করা হয়েছে।

কমিউনিটি গাইডলাইন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ১০ হাজারেরও বেশি লোককে নিয়োগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে গুগল। ইউটিউবে তারা পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশে হিউম্যান রিভিউয়ার (মানব পর্যবেক্ষণকারী) হিসেবে কাজ করবে। গত বছর এ ধরনের কাজে নিয়োজিত ছিল প্রায় এক হাজার মানুষ।

রিভিউয়ার হিসেবে কাজ করা ছাড়াও নতুন নিয়োগকৃতরা স্পাম শনাক্তকরণ, মেশিন লার্নিং এবং ভিডিও হ্যাশিং-এর মতো সিস্টেমগুলো নিয়েও কাজ করবে।

বর্তমানে বিদ্যমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী সন্দেহমূলক কন্টেন্টকে শুরুতে ফ্ল্যাগড করা হয়। এরপর এটি কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করেছে কিনা তা দেখা হয়। এরপর ভিডিও মুছে ফেলা হবে কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

101

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়