বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ১৭৬২, শনাক্ত ৮ লাখ

সারাবিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৬২ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪১৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু দুই শতাধিক এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার বেড়েছে । এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৭ জনে এবং আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৫ জনে।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। দেশটিতে এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ২৮০ জন এবং মারা গেছেন ১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন।

একই সময়ে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে কানাডা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২৪০ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৪৬ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৪০ হাজার ৬২৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ১৩০ জন এবং মারা গেছেন ২০১ জন। যুক্তরাজ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৮২ জন এবং মারা গেছেন ১৬৯ জন। একইসময়ে তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৩৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন।  জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৪৬ জন এবং মারা গেছেন ১৩৯ জন। ফ্রান্সে নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৮৪২ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। 

 একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৯৭ জন এবং নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৯২৭ জন। থাইল্যান্ডে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩০৫ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। ফিনল্যান্ডে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৮৫ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন। ইতালিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩১০ জন এবং মারা গেছেন ১০৮ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৫২৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। 

এছাড়া ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৫ জন এবং নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৪১৫ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৯ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। গ্রিসে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯২৮ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১০৫ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে সংস্থাটি।