Cvoice24.com

মারিউপোলে পূর্ণ বিজয় ঘোষণা রুশ বাহিনীর

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২১ মে ২০২২
মারিউপোলে পূর্ণ বিজয় ঘোষণা রুশ বাহিনীর

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মারিউপোল দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর পূর্ণ দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। 

শুক্রবার (২০ মে)  এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার শহরটির আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় রয়ে যাওয়া ৫৩১ জন সেনাসদস্যের সবাই আত্মসমর্পণ করেছে । 

সাবেক সোভিয়েত আমলে প্রায় ৫ মাইল এলাকাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাটি হয়ে ওঠে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি।

মস্কোর দাবি, আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে গত ১৭ মে থেকে ৪ দিনে ২৪৩৯ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘কারখানার বেসমেন্ট এলাকা, যেখানে এতদিন ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মগোপন করেছিল—বর্তমানে রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

শুক্রবার ইউক্রেনের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর সদর দপ্তর (আজভস্তালের) সেনাসদস্যদের ওই এলাকা থেকে বের হওয়া এবং নিজেদের জীবন রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। তারা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছে।’

রুশ বাহিনীর কাছে কৌশলগতভাবে আজভ সাগরের তীরবর্তী মারিউপোল শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই এই শহরটি নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল রাশিয়া।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ২ মার্চ মারিউপোলে প্রবেশ করে রুশ সেনারা। প্রান্তিক বিভিন্ন এলাকা দখলের পর ৪ মার্চ শহরটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে এগোতে শুরু করে রুশ বাহিনী।

গত ১৭ মার্চ ইস্পাত কারখানা ব্যতীত গোটা মারিউপোল দখলে বোমাবর্ষণ শুরু করে রুশ বাহিনী। শহর দখলের পর ২২ এপ্রিল আজভস্তাল কারখানা অঞ্চল ঘেরাও করে ফেলে রুশ সেনারা এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু ইউক্রেন বাহিনী তাতে সাড়া না দেওয়ায় এক পর্যায়ে বোমা মেরে ওই কারখানা উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল রুশ সেনারা। তবে কারখানাটিকে কয়েক হাজার বেসামরিক থাকায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সেনাদের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

প্রায় এক মাস যুদ্ধ ও সংঘাতের পর আজভস্তাল দখল করল রুশ সেনারা। তবে গত আড়াই মাসের যুদ্ধে রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরশহর মারিউপোল।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়