একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত উত্তর কোরিয়ায়, মৃত্যুতে শীর্ষে রাশিয়া 

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যু ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একদিনের ব্যবধানে আরও কমেছে। তবে আগের দিনের মতো সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায় আর মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়াই। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় সাড়ে তিন শতাধিক কম। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৯ জন। যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে সোয়া লাখের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ২৫১ জনে এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪৭ জনে।

সোমবার (২৩ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য এসব জানিয়েছে। 

তথ্য অনুযায়ী,গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন।

একই সময়ে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে রাশিয়ায় ৮০ জন এবং নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৭১০ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫০ জনের এবং শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫০ জন রোগী।

এদিকে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৭৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন। তাইওয়ানে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৪৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২২০ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জাপানে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে ২৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ২০ জন, চিলিতে ৮ জন, গ্রিসে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই বছরের  ১১ মার্চ বিশ্ব করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে সংস্থাটি।