Cvoice24.com

২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বে কমল দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১৫ আগস্ট ২০২২
২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বে কমল দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা

বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারিতে  দৈনিক মৃত্যু ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে নয়শো মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লাখের নিচে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ইতালি, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৫১ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৪৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে তিনশোর বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৬ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩০ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১১ জন এবং মারা গেছেন ২৩৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৫ হাজার ১ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৫৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২১৫ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৩ জন মারা গেছেন।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪২ লাখ ২৯ হাজার ৪৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬০৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৬ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৯২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৫ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৮৩ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১২৫ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৪২ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়