Cvoice24.com

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে সংঘর্ষে নিহত ১২৯

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২ অক্টোবর ২০২২
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে সংঘর্ষে নিহত ১২৯

সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে পদদলিত হয়ে বেশিরভাগ সমর্থকের মৃত্যু হয়

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পদদলিত হয়ে অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন। স্থানীয় সময় শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলের মালাং শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

রবিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় আরেমাকে ৩–২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারল আরেমা। খেলা শেষে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে আরও প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে চূড়ান্ত বাঁশি বাজানোর পরে ভক্তরা মাঠের দিকে দৌড়াতে দেখা যায়। পুলিশ তখন টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, যার ফলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত এবং শ্বাসরোধের ঘটনা ঘটে।

ইন্দোনেশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, হারের পর স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় হুড়োহুড়িতে অনেকেই পদদলিত হয়ে ১২৯ জন নিহত হন। এ ছাড়া সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে আরও প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া এই ঘটনাটি ‘ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের মুখকে কলঙ্কিত করেছে’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে পূর্ব জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তা বলেন, ‘এই ঘটনায় ১২৯ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্টেডিয়ামের ভেতরে ৩২ জন মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে।’

এদিকে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে তারা।

ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদিন আমালি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত... এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা যা আমাদের ফুটবলকে এমন এক সময়ে ‘আহত’ করেছে যখন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচের আয়োজন এবং সমর্থকদের উপস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করব। আমরা কি সমর্থকদের মাঠে খেলা দেখা নিষিদ্ধ করার দিকে ফিরে যাব? সেটাই আমরা আলোচনা করব এখন।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়