Cvoice24.com

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা/
যৌক্তিক বললেন বাইডেন, জেলেনস্কির মতে ঐতিহাসিক উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ১৮ মার্চ ২০২৩
যৌক্তিক বললেন বাইডেন, জেলেনস্কির মতে ঐতিহাসিক উদ্যোগ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘যৌক্তিক’ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মার্চ) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা যৌক্তিক কাজ। এর অত্যন্ত শক্তিশালী তাৎপর্য রয়েছে। এ সময় বাইডেন মনে করিয়ে দেন, তাঁর দেশ আইসিসির সদস্য নয়।

অন্যদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্বের সূচনা ঘটবে।

শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। আইসিসির অভিযোগ ইউক্রেনে রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিন জড়িত রয়েছেন।

পুতিন ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিসি। তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে আইসিসির এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে মূল্যহীন হিসেবে অভিহিত করেছে রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা ঠাটঠমক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম কিভাবে চলে?

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এটি ১৯৯৮ সালে রোম সংবিধি নামক একটি চুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়। এ আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য। আর সদস্য দেশগুলোর যে কোনো ব্যক্তির বিচার করার এখতিয়ার আছে এটির। তবে এ আদালতে বিচার করা হয় ব্যক্তির, কোনো দেশের নয়। এছাড়া যেসব ব্যক্তি অপরাধের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িত তাদের ওপরই বেশি নজর রাখা হয়।

তবে বড় বিষয় হলো— রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন কোনো দেশই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তবে অতীতে এ আদালতের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছিল ইউক্রেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কারও অনুপস্থিতিতে বিচার করে না। ফলে পুতিনকে যদি বিচারের মুখোমুখি করতে হয়— তাহলে তাকে রাশিয়াকেই আদালতে সোপর্দ করতে হবে অথবা অন্য কোনো দেশে পুতিনকে আটক করে আদালতের কাছে তুলে দিতে হবে।

আইসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পুতিন ভয় পাবেন?

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেতে এখন পুতিন ভয় পাবেন কিনা? এমন প্রশ্ন করা হয় রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভের কাছে। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আইসিসির সদস্য নয়। রাশিয়ার কাছে এটি ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলার নেই আমার।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়