Cvoice24.com

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ বড় সংঘাতের শঙ্কা 

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ বড় সংঘাতের শঙ্কা 

ইসরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটসে (গোলান মালভূমি) একটি রকেট হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইসরাইল-লেবানন সম্পর্ক। এই হামলার জন্য হিজবুল্লাকেই দায়ী করে তাদের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলাও করেছে ইসরায়েল। যদিও লেবাননের ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি হামলায় তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। তারপরও ওই হামলাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও হেজবুল্লাহ সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে, এই সম্ভাবনাও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) গোলান মালভূমির মাজদাল শামস এলাকার একটি ফুটবল মাঠে একটি রকেট আঘাত হানলে অন্তত ১২জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।

এর আগে রবিবার সকালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সূত্রে জানানো হয়, তারা নির্দিষ্ট সাতটি হেজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার সবগুলোই ‘লেবানিজ ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে অবস্থিত’।

গত অক্টোবরে যখন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, তখন থেকেই ইসরায়েল ও হেজবুল্লাহ-র মধ্যেও নিয়মিত গোলাগুলির বিনিময় চলছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেজবুল্লাহ-কে এই হামলার জন্য ‘চড়া মূল্য চোকাতে হবে’ – যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তারা চান না এই সংঘাত আরও বৃদ্ধি পাক।

ওদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় গাজাতে ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ২৪১ জন আহত হয়েছে।

গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা
মাজদাল শামস এলাকার যে ফুটবল মাঠটিতে শনিবারের রকেট হামলায় অন্তত ১২জন নিহত হন, সে মাঠটির মাঝখানে রকেটের আঘাত বিশাল একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। মাঠের চারদিকে যে বেড়া ছিল, সেগুলো বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে তখনও পড়ে ছিল ফুটবল খেলতে আসা বাচ্চাদের আগুনে ভস্মীভূত বাইকগুলো। হামলার ঠিক আগে সাইরেন বেজেছিল ঠিকই – কিন্তু এত দ্রুত রকেটটি এসে আঘাত হানে যে কেউ মাঠ ছেড়ে পালানোরই সময় পায়নি।

এদিকে রকেট হামলায় নিহত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনের নাম এদিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় দ্রুজ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এরা সবাই ছিল ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু বা কিশোর, এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্য। এছাড়া নাথেম ফখির সায়িব নামে নিকটবর্তী এইন কিনিয়া গ্রামের একজন বাসিন্দাও ওই হামলায় নিহত হন বলে জানা যাচ্ছে।

রবিবার এই নিহতদের জানাজা উপলক্ষে দ্রুজ সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। ‘দ্য টাইমস অব ইসরায়েল’ পত্রিকা জানাচ্ছে, শেষকৃত্যে অংশ নিতে ইসরায়েলের যে মন্ত্রীরা গোলান মালভূমিতে গিয়েছিলেন তাদের উপস্থিত জনতার তীব্র ক্ষোভ ও রোষের মুখে পড়তে হয়। দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রথাগত ও সাবেকি পোশাক পরে পুরুষরা কাঁদতে কাঁদতে সাদা কাপড়ে মোড়া নিহতদের শবাধার বহন করে মাজদাল শামসের রাস্তা ধরে এগিয়ে যান। বহু দ্রুজ নারীও কালো ‘আবায়া’ পরে এসে নিহতদের শবাধারে ফুল দিয়ে তাদের শেষ বিদায় জানান।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: