তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, নিখোঁজ অসংখ্য
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ নেপালের সীমান্তবর্তী তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬ দশমিক ৮ পরিমাপ করা হয়েছে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
এ দিকে নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুতেও তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ১২৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো অনেকে নিখোঁজ এবং অনেকে ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়ার কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত এলাকার জন্য ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছে। আটকে পড়াদের খুঁজে বের করার জন্য প্রায় ১ হজার ৫০০ অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে একাধিকবার পরাঘাত বা আফটার শক অনুভূত হয়েছে। পরাঘাতের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে।
তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ভাঁজে নেপালের অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পোখারা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৯৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন ২২ হাজার মানুষ।