কানাডায় নিখোঁজের ৩০ দিন পর মিললো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নিথর দেহ
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন এলাকা থেকে নিখোঁজের ৩০ দিন পর নিধুয়া মুক্তাদির (১৯) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি কলেজশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) পোর্ট ব্রুসের কাছে ওয়েনিটা সৈকত এলাকায় ইরি লেকের পাড়ে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর জনবহুল অন্টারিওর লন্ডন এলাকা থেকে নিখোঁজ হন নিধুয়া। তিনি দেশটির ফ্যানশোয়ে কলেজের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশি লেখক ও উপস্থাপক সামিনা নাসরিন চৌধুরীর মেয়ে।
সংবাদমাধ্যম দ্য লন্ডন ফ্রি প্রেসকে সামিনা নাসরিন চৌধুরী জানান, স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) জোহরের নামাজের পর স্কারব্রোর ২৬৬৫ লরেন্স অ্যাভিনিউর জামে আবু বকর সিদ্দিকী মসজিদে নিধুয়া মুক্তাদিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে অন্টারিওর পিকারিংয়ের ডাফিন মেডৌস সেমিটেরিতে দাফন করা হবে।
মেয়ের জানাজায় অংশ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে সামিনা নাসরিন চৌধুরী লেখেন, ‘মাত্র ১৯ বছরের জীবনে বুকে অজানা কষ্ট, নাকি না-বলা অভিমান নিয়ে চলে যাওয়া আমার মেয়ে নিধুয়ার নামাজে জানাজা আগামী ১১ জানুয়ারি (শনিবার) জোহরের নামাজের পর আয়োজন করা হয়েছে।
নিধুয়ার জন্য এই বিদায়ী আয়োজনে সব কাছের মানুষ ও বন্ধুদের দোয়া তার অনন্তযাত্রায় পাথেয় হবে এবং সবার উপস্থিতি আমাদের এই অসহনীয় কষ্ট হয়তো কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে। আমিন।
জানা গেছে, ৯ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে কানাডায় পাড়ি জমায় নিধুয়া মুক্তাদি। তার মা রাজধানী টরন্টোতে কর্মরত এবং নিধুয়া কলেজের ডরমেটরিতে থাকতেন। গত ৩ ডিসেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। সর্বশেষ পোর্ট স্ট্যানলির হক ক্লিফ রোডে তাকে দেখা গিয়েছিল। অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম, অ্যাভিয়েশন, ক্যানাইন ও মেরিন ইউনিট ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে কোনো কূলকিনারা খুঁজে না পেয়ে তল্লাশি বন্ধ করে দেয়। নিখোঁজের ঠিক ৩০ দিন পর সৈকতে মিলল তার মরদেহ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) পোর্ট ব্রুসের কাছে ওয়েনিটা সৈকত এলাকায় ইরি লেকের পাড়ে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এক ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়। প্রাথমিক তদন্তের বরাতে পুলিশ জানায়, নিধুয়ার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকলেও এটি হত্যাকাণ্ড নয়।
