Cvoice24.com

রামগড়ে দুই চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ৩ জুলাই ২০২১
রামগড়ে দুই চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

খাগড়াছড়ির সীমান্ত উপজেলা রামগড়ে করোনা রোগীর হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত রোগী ছাড়াও মহামারি করোনার ভয়াবহ সংকটের এই সময়ে নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও জনবল। অপর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স নিয়েই এই হাসপাতালের দৈনন্দিক কাজসহ কোভিড-১৯ চিকিৎসা সামাল দিতে হচ্ছে হাসপাতালটিকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় হাসপাতালটি উন্নিত করা হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি ডাক্তার, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল। ফলে ৩১ শয্যার কাঠামোতেই চলছে হাসপাতালটি। হাসপাতালে ১৩ জন চিকিৎসকের পরিবর্তে মাত্র ২ জন চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্য ১ জন ডেপুটিশন দায়িত্ব পালন করছেন ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রয়েছেন ২জন। ১৪ জন নার্সের মধ্যে ৭ জন ও ৪ জন মিডওয়াইফের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১ জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৩ জনের মধ্য ১ জন, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি পদই শূন্য, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৭জনের মধ্য ২জন, স্বাস্থ্য সহকারী ৩৫জনের মধ্য রয়েছে ২১জন। 

হাসপাতলের ৩য় শ্রেণীর ৬৬ পদের মধ্য রয়েছে ৩৮জন ও ৪র্থ শ্রেণীর ২১ পদের মধ্য রয়েছে ১৭ জন। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতালের ৩টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র সবক’টি পদই শূন্য রয়েছে এবং হাসপাতালের আওতাধীন ১৪ জন সিএইচসিপির মধ্য রয়েছে ১০ জন। 

জানা গেছে, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রামগড়ে করোনায় মারা গেছেন ১ জন। ৫৪৫ জনের পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৫ জনের। বর্তমানে রামগড়ে ২৮ জন সংক্রমিত, এরমধ্যে ২ জন হাসপাতালে ও ২৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইন রয়েছেন। তবে করোনায় সংক্রমিত হয়ে উপজেলার বাহিরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন মারা গেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতিক সেন বলেন, কোভিড-১৯ সংকটময় পরিস্থিতিতে মাত্র ২ জন ডাক্তার দিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। তারপরও নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি করোনা ইউনিটেও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। 

ডা. প্রতিক সেন আরও বলেন, হাসপাতালটিতে প্রায় এক চতুর্থাংশ পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যপদ পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার পেলে পালাবদল করে করোনা ইউনিটসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সেবা সচল রাখা সম্ভব হবে। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি জানান, এ সংকটময়কালে এতো বড় হাসপাতাল মাত্র ২ জন ডাক্তার দিয়ে সত্যিই কষ্টকর ব্যাপার। এ সংকট নিরসনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাস বলেন, ৫০ শয্যায় হাসপাতালটি উদ্বোধনের সময় আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল দেওয়া হয়নি। কষ্ট হলেও আমরা চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ফটিকছড়ি থেকে ডেপুটিশনে একজন ডাক্তার যোগদান করবেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি, ৪২তম বিসিএসের পক্রিয়া সম্পন্ন হলে পর্যাপ্ত ডাক্তার পাবো।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়