গুইমারায় সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলি, অবৈধ অস্ত্রসহ চারজন আটক
রামগড় প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির গুইমারায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। অভিযানে দেশিয় তৈরি দুটি এলজি, ৫টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ৬টি মোবাইল সেট, নগদ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা সহ ৪ জন ইউপিডিএফ (মূল) দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন— মানিকছড়ি গচ্ছাবিল মুরাদংপাড়া এলাকার বাগড়া কুমার চাকমার ছেলে দুর্জয় চাকমা (৩২), মানিকছড়ি রেম্রাপাড়া এলাকার থোঅংগ্য মারমার ছেলে অংথই মারমা (২৩) এবং একই এলাকার মৃত সাথোয়াই মার্মা ছেলে কংচাই মার্মা (১৮) ও লাব্রেসাই মার্মার ছেলে চাইহলা মার্মা (২০)।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাফছড়ি বড়পিলাক এলাকার ছনখোলা পাড়া গরুর দোকানের সামনে রাস্তার উপর থেকে সেনাবাহিনীর তিন ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. এমরান হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অস্ত্র, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, মোবাইল সেট, নগদ ৩ হাজার ৭৫০ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার কার হয়।
গুইমারা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে, অস্ত্র আইনে গুইমারা থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে খাগড়াছড়ি কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তার দুর্জয় চাকমার নামে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এসব মামলায় দুর্জয় চাকমা পলাতক রয়েছেন।
তবে ইউপিডিএফের সংগঠক ক্যালাচিং মার্মা জানান, দুর্জয় চাকমা তাদের সংগঠনের সদস্য হলেও অপর তিনজন সাধারণ গ্রামবাসী।