Cvoice24.com

‘রামগড়ে এখন বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে’

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:২৪, ৫ জুলাই ২০২২
‘রামগড়ে এখন বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে’

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড়ে গত ২ থেকে ৩ দিন ধরে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। এতে করে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, সেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের।

রামগড় বাজারের ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, ‘গত ২/৩ দিন ধরে লোডশেডিং খুব বেশি হচ্ছে। বিদ্যুৎ এসে আধঘণ্টা পর আবার চলে যাচ্ছে। এতে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘর-গৃহস্থালীর কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। দিন-রাতে ১০-১২ বার করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছে না। গরমে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছি।

গৃহবধূ উম্মে হাবিবা বলেন, 'দিনে-রাতে সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতে গরমে ঘুমাতে পারছি না। ২ থেকে ৩ দিন হলো এমন হচ্ছে। রাতে ছোট বাচ্চাদের হাতপাখার বাতাসে ঘুম পাড়াতে হচ্ছে।'

রামগড়ের বেসরকারি ল্যাব টেকনিশিয়ান নুর আলম বলেন, 'ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রায়সময় জেনারেটর দিয়ে কাজ করতে হয় আবার কিছু কিছু মেশিন আছে যেগুলো জেনারেটর দিয়েও চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এক্স-রে ও প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টে ঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। 

পৌর এলাকার রাইচ মিলের মালিক হাশেম মিয়া জানান, 'কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে এখন আমাদের চালের গুঁড়া ও মসলা তৈরীর মৌসুম। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আমরা মারাত্মকভাবে হচ্ছি। দিনে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একবার গেলে এক থেকে ২ ঘণ্টা পর আসে আবার ঘণ্টাখানেক পর চলে যায়।'

রামগড়ে কেন এমন লোডশেডিং হচ্ছে জানতে চাইলে উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী আহসান উল্যাহ জানান, 'আমরা জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম পাচ্ছি। গ্যাসের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। রামগড়ে সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৩ মেগাওয়ার্ট কিন্তু গ্রিড থেকে পাচ্ছি মাত্র ১ মেগাওয়াট। সে কারণে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, এ কারণে  আমরা রেশনিং করে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিচ্ছি। কিছু ফিডার বন্ধ করে অন্য ফিডারগুলো চালু রাখছি। এই কারণে দেখা যাচ্ছে কোন এলাকায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে পরের ঘণ্টায় তারা আবার বিদ্যুৎ পাচ্ছে। আর এটি হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করছেন'। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত  বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে কম বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাহিদার ৪ ভাগের একভাগ পাচ্ছি সেটা দিয়ে মোটামুটি  ব্রেক-আপ দেয়া হচ্ছে।  গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন কম হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়