Cvoice24.com

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

খাগড়াছড়িতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩ সাংবাদিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে দীঘিনালা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী মামলাটি দায়ের করেন। সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক ৪ এপ্রিলের মধ্যে সিআইডিকে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের  নির্দেশ দেন। 

মামলায় দৈনিক মুক্তখবরের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সবুজ, সময়ের কাগজের প্রতিনিধি এম ইদ্রিছ আলী, দৈনিক জাগরণ ও পাহাড় বার্তার প্রতিনিধি আবদুল জলিলসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— দীঘিনালার মধ্য বেতছড়ির সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালামের ছেলে মো. সোহাগ, বেলছড়ির নেওয়াজ আলীর ছেলে মো. সোহাগ মিয়া, বেতছড়ির মো. হেকমত আলীর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম ও বড় মেরুং’র আবদুল করিম’র ছেলে মোহাম্মদ আলী। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী রহমান কবির রতন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করে নিলেও আসামিরা তার সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বাদিকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় করে। এছাড়া বাদিকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন তার ২/৪ জন সাঙ্গপাঙ্গকে নিয়ে আসামিদেরকে মঞ্চের সামনে দাঁড় করিয়ে দলীয় কিছু অপেশাদার ও অনিবন্ধিত ব্যক্তিকে সাংবাদিক সাজিয়ে বাদির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। 

এছাড়া গত ৬ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাদির বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট কমেন্ট করে। 

ভুক্তভোগী ৩ সাংবাদিক জানান, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেরুং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩ কার্ড সম্পদশালী একই পরিবারে’ শিরোনামে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি গত ৬ জানুয়ারি মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বর্ধিত সভা করে মেরুং ইউনিয়ন (উত্তর-দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ। সেই সভা থেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্যসহ অভিযুক্ত সেই ইউপি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে। চেয়ারম্যান পক্ষে শতাধিক জনতা মানববন্ধনও করে। 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যানের পক্ষে প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা মানিক বলেন,‘সূলভ মূল্যের সেই ৩ কার্ড চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও উদ্যোক্তার সুপারিশে হয়েছে’। এসব ঘটনার প্রকাশিত  সংবাদ ও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারের জেরেই এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তারা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়