Cvoice24.com

খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে কয়লা খনির সন্ধান! 

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:২১, ১১ মার্চ ২০২৩
খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে কয়লা খনির সন্ধান! 

স্থানীয়দের সংগৃহীত কয়লা

খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি জনপদে কালো সোনা খ্যাত কয়লার খনির সন্ধান পেয়েছে স্থানীয়রা। জেলার মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম এলাকা বামা গোমতী। ইউনিয়ন থেকে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি সরু পাহাড়ি পথ আর ঝিরি মাড়িয়ে জায়গাটিতে যেতে হয়। সেখানেই মাটি খুঁড়ে সম্ভাব্য এ খনির সন্ধান পায় তারা। ইতোমধ্যে এসব কয়লা সংগ্রহ করে স্থানীয় লোকজন রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারও করছেন। খবরটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে সেটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুখ জনতা সেখানে ছুটে যাচ্ছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে নিয়ে আসছে। তারা এই কয়লা এনে তারা শুকিয়ে বাসা বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন এবং সেখানে আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন কয়লা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায়। 

স্থানীয় কৃষক মো. হানিফ বলেন, প্রায় বছর খানেক আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খনন করতে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে কৌতূহলী হয়ে এসব কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদের জানালে অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ করে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছে। 

আমতলী ইউপির সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কয়লা পাবার বিষয়টি যাচাই বাছাই করে কয়লা উত্তোলন করা হলে কয়লার ঘাটতি পূরণ হবে। দুর্গম এ পাহাড়ে কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলে তা স্থানীয়দের জন্য বড় পাওয়া হবে বলেও মনে করেন তিনি। 

এদিকে বামা গোমতির একাধিক স্থানে মাটির নিচে কয়লা থাকার কথা জানিয়ে কয়লা উত্তোলনে সরকারি উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য রংছা কান্তি ত্রিপুরা।

আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি বলেন, বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে দেশে বিদ্যমান কয়লা ঘাটতি পূরণ হবে। তাছাড়া বিদ্যুতের যে জ্বালানি সঙ্কট রয়েছে তাও দুরীভূত হবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তিনি

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউপির বামা গোমতী এলাকায় কয়লা পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলব বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে। রিপোর্ট পরবর্তী আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হব।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়