Cvoice24.com

তিন গ্রামের মানুষের ভরসা একজোড়া বাঁশ

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তিন গ্রামের মানুষের ভরসা একজোড়া বাঁশ

৬০ ফুট লম্বা এক জোড়া বাঁশ। সেই বাঁশের ওপর ভর করে তিন গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচল। কোন অজোপাড়াগাঁ কিংবা দুর্গম কোন অঞ্চল নয়, ৫২ বছর ধরে এভাবেই খাল পার হচ্ছেন খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার তৈছালাপাড়া, বতপাড়া, সোনাইআগা গ্রামের মানুষ। রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে তৈছালাপাড়া খালের ওপর সেতুর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন সেই থেকে। ভোটের সময়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর আর কেউ খবর রাখেনা। 

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, খালের অপর পাড়ে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দাদের পারাপারে প্রায়ই ছোটখাটো নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। দুটি বাঁশই গ্রামের হাজারো বাসিন্দাদের ভরসা। একটি সেতুর জন্য যুগ যুগ ধরে আশায় বুক বেঁধে থাকলেও তাদের দুঃখ-দুর্দশার দিকে আজ পর্যন্ত কেউ ফিরে তাকায়নি। বর্ষার মৌসুম এলেই দুর্ভোগ বেড়ে যায় সাঁকোতে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ঝড়বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। 

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, এখানে সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক আবেদন করা হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর কেউ আর খবর রাখেনা। সামাজিক কবরস্থান এবং মসজিদ খালের ওপারে হওয়ায় এলাকার কোন মানুষ মারা গেলে লাশ দাফনের জন্য মৃত ব্যক্তি নিয়ে সেতু দিয়ে পারপার হতে খুব বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদিপশুর পারাপারের সময় তাদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খাল পার হয়ে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজে যাতায়াত করে। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রামগড় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শামীম মাহমুদ জানান, খালের জায়গা নিয়ে জটিলতা থাকায় খালের ওপর সেতুর কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। জটিলতা নিরসন হলেই বরাদ্দের জন্য আবেদন করবেন। 

রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, বিষয়টি জানা নেই। আবেদন করলে ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: