Cvoice24.com

দীঘিনালায় ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দীঘিনালা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২ আগস্ট ২০২৪
দীঘিনালায় ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত থেকে টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য খোলা হয়েছে জরুরি সেবা ও আশ্রয় কেন্দ্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালীর দীঘিনালা ইউনিয়নের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। মেরুং-লংগদু সড়কের দাঙ্গাবাজার মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবাখালী মাইনী ব্রিজ সংলগ্ন কবরস্থান এলাকার দীঘিনালা-সাজেক মেইন রাস্তায় পানিতে তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। এসব এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। 

এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালী, বাবুছড়া ইউপিতে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র। 

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দুই মাস ব্যবধানে আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে। ইতিমধ্যে চার-পাঁচটি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী এলাকা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসতে শুরু করেছে। 

কবাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আব্দুল আলিম বলেন, ‘গতরাতের টানা বর্ষণে উজানের পানি এসে ইতিমধ্যে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, নিচু এলাকার বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি পড়তে থাকলে রাতের দিকে বন্যা দেখা দিতে পারে।’ 

কবাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, যেকোন সময় বন্যা দেখা দিতে পারে। কবাখালী ইউনিয়নে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং এসব এলাকায় বসবাসরত মানুষদের নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য চার ইউপিতে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে-  যোগ করেন তিনি। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: