দীঘিনালায় চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক।
জানা গেছে, শনিবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি এলাকার মো. কোরবান আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বুকে ব্যথা নিয়ে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাইরে থেকে ইসিজি করার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা ইসিজি করানোর জন্য বোয়ালখালী বাজারে যাওয়ার পথে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফের তাকে পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কোরবান আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এতে অবহেলায় কোরবানী আলী মারা গেছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসককে দোষারোপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আত্মীয়-স্বজনরা।
মৃত কোরবান আলীর বড় ভাই মাহতাব খাঁ জানান, আমার ছোট ভাইয়ের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ডাক্তার তাকে হার্টের ওষুধ খাইয়ে দেন। পরে চিকিৎসকের কথা মতো ইসিজি করানোর জন্য বোয়ালখালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে যাওয়ার পথে অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় আবার হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ সময় চিকিৎসক ত্রিলোক চাকমা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আমার ভাইকে মৃত ঘোষণ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ত্রিলোক চাকমা বলেন, ‘কোরবান আলীকে আগেই স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাইয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। তারা আমাকে সেই ওষুধের স্লিপ দেখিয়েছে। পরে পেটে ব্যথা না কমায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে হার্ট এ্যাটাকের ওষুধ দিই এবং দ্রুত ইসিজি করাতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠাই। কিন্তু মাঝপথ থেকে আবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ অবস্থায় চেকআপ করে দেখি রোগী মারা গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসায় কোন ধরনের অবহেলা হয়নি। হার্ট এ্যাটাকের রোগীকে হাসপাতালে আনতে কালক্ষেপণ করলে বেশি মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হয়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাকারিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনি। পরবর্তীতে পুলিশ প্রহরায় কোরবান আলীর মরদেহ তার বেতছড়িস্থ নিজ বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’