পুঁথি বিশারদ আবদুস সাত্তার চৌধুরীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সিভয়েস ডেস্ক
পুঁথি বিশারদ আবদুস সাত্তার চৌধুরীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন পুঁথি ও লোকসাহিত্য সংগ্রাহক পুঁথি বিশারদ আবদুস সাত্তার চৌধুরীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৮ মার্চ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথিশালার পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ১৯৮২ সালের ৮ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জানা যায়, ১৯১৯ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হুলাইন গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল মজিদ চৌধুরী ও মাতার নাম রাফেয়া খাতুন। আবদুস সাত্তার চৌধুরী ছিলেন মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের যোগ্য উত্তরসূরী ও সম্পর্কে ভ্রাতুষ্পুত্র। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে আবদুস সাত্তার চৌধুরী হাজারেরও বেশি প্রাচীন পুঁথি ও লোকসাহিত্য সংগ্রহ করে বাংলা একাডেমিতে জমা দেন। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংগৃহীত লোকসাহিত্য থেকে ৬৭ খানা পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন।
আবদুস সাত্তার চৌধুরীর লোকসাহিত্য সংগ্রহের মধ্যে মারফরিত, মুর্শিদি, বাউল ও মাইজভান্ডারী গানের সংখ্যা ১হাজার ৬৭১টি। পালা গানের সংখ্যা ৩০টি। ১৯৯৩ সালে ১৩টি পালাগাণ ৯৫ খণ্ডে ‘চট্টগ্রাম গীতিকা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৭ সালে আবদুস সাত্তার চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধীনে পুঁথি সংগ্রাহক হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন। এখানে সৈয়দ আলী আহসান, ড. আবদুল করিম, ড. আনিসুজ্জামানের সহায়তায় অধুনালুপ্ত ও দুষ্প্রাপ্য আরবী, ফারসী, সংস্কৃতি, পালি ও বাংলা ভাষায় নানা পুঁথি ও সাময়িকী পত্রিকা সংগ্রহ করে পুঁথি সংগ্রহে সাফল্য অর্জন করেন।
১৯৮২ সালের ৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথিশালার পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নিজ বাড়িতে আবদুস সাত্তার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে মিলাদ, কোরানখানি, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও সাহিত্য গোষ্ঠী মালঞ্চসহ পটিয়ার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি