Cvoice24.com

হাফিজ রশিদ খানের ‘নগর ভাগাড়ে’

হাফিজ রশিদ খান

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২২ এপ্রিল ২০২১
হাফিজ রশিদ খানের ‘নগর ভাগাড়ে’

ছবি সৌজন্যে কমল দাশ

হাফিজ রশিদ খান কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক। জন্ম ১৯৬১ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। তিনি দীর্ঘদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করছেন। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। হাফিজ ১৯৯৫ সালে মিলাতুন্নেসা খানমকে বিয়ে করেন। তাদের দুই কন্যা নাইসা হাফিজ খান ঐচ্ছিক ও রাইসা হাফিজ খান ঐহিক। দুই সন্তানের জনক হাফিজ রশিদ খান চট্টগ্রামের দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় কর্মরত আছেন।

বাংলাদেশে বসবাসরত প্রাক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সংস্কৃতি ও জীবনধারার ওপর তার কয়েকটি কাব্য ও গবেষণামূলক গ্রন্থ রয়েছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার তরুণ-প্রবীণ সাহিত্যকর্মীদের সম্পাদনায় প্রকাশিত অনেক ছোট কাগজের বুকে অসংখ্য কবিতা মুদ্রিত হয়েছে তাঁর।

১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বরে তার প্রথম কবিতা ‘জোসনা কেমন ফুটেছে’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৩ সালে ‘সুন্দরের দূর্গ’ নামে কাব্য প্রকাশিত হয়। একই বছর ‘চোরাগুপ্তা ডুবোপাহাড়’ শিরোনামে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে ‘বিধ্বস্ত ক্যম্পাস’ শিরোনামে প্রেমের কবিতার ভাজপত্র প্রকাশ করেন। একই বছর ‘ফুলবাড়িয়ার নিহত পলাশগুলি’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় দীর্ঘকবিতা সংকলন ‘শোণিত প্রপাত’। লেখালেখির শুরুর দিকে তিনি কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন। আশির দশকে সম্পাদনা করেছেন রেনেসাঁস, ধানের শীষে গান, বৃষ্টি ইত্যাদি পত্রিকা। ১৯৯১ সাল থেকে সমুজ্জল সবাতাস এবং পুস্পকরথ সম্পাদনা করছেন।

২০২০ সালে ‘রাতে আমার পেখম মেলে’ শিরোনামে তার সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বাংলা প্রবন্ধসাহিত্যে অবদানের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃক একুশে সাহিত্য পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও পুষ্পকরথ সাহিত্য কাগজ সম্পাদনার জন্য তিনি কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার পান।

 

নগর ভাগাড়ে

খুব ভোরে কিছু নারী ও পুরুষ এসেছিল নগর ভাগাড়ে
চোখে অনেক দিনের না-ঘুমানোর রেশ
কোমল শীতাভ বাতাস জুড়িয়ে দিচ্ছিল 
ওদের অযত্ন শরীর
কানাগলির ভেতর

গত মধ্যরাতে নগরসম্রাটদের মিলন মেলায় 
বেজেছিল স্মৃতিভারাতুর গানের অনেক কলি
উল্লাসে-উল্লাসে
খায়নি অনেকে ভাত, ডৌল মাংসের সম্ভার

ফেরেনি ঘরের উষ্ণ বিছানায় কেউ-কেউ

পরিত্যক্ত সুবাসিত খাদ্যবস্তুগুলো
এসেছে এখানে আজ বড় হেলায়-ফেলায়

কুকুর ও কাকেদের ভিড়ে ওরাও খুঁজছে কিছু...

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়