আইসিইউতে ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার 

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

চিকিৎসকরা জানান, সমরেশ মজুমদারের ১০-১২ বছর ধরে সিওপিডির (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) সমস্যা রয়েছে। এটি মূলত ফুসফুসের এক ধরনের জটিল রোগ। এতে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হয়।

সমরেশ মজুমদার ২০১২ সালেও একবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সে সময়ও তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, সমরেশের চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারাই প্রতি মুহূর্তে সাহিত্যিকের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন। শ্বাসনালীতে সংক্রমণ থাকায় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পরে তার বুকের এক্স-রে করে দেখা হয়। এছাড়া সিটি স্ক্যান ও করোনা পরীক্ষাও হয়। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কিছুটা স্বস্তিতে চিকিৎসকরা।

পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল সমরেশ মজুমদারের। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থেকে। তাই পরিবার কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুতই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। 

ঔপন্যাসিক হিসাবে বহুবছর ধরে বাংলার পাঠক মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন সমরেশ মজুমদার। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার ও ১৯৮৪ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান এই সাহিত্যিক। বেশকিছু জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিকের কাহিনীও তার লেখা। বর্তমানে তার বয়স ৭৯ বছর। 

সমরেশ মজুমদার ১৯৪২ সালের ১০ মার্চ ডুয়ার্সের গয়েরকাটায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তার প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’। এরপর একে একে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগের মতো উপন্যাস উপহার দিয়েছেন এই গুণী।