Cvoice24.com

বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে শুরু চট্টগ্রামের বই মেলা, ঠাঁই পাবে না মৌলবাদী বই

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে শুরু চট্টগ্রামের বই মেলা, ঠাঁই পাবে না মৌলবাদী বই

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে চট্টগ্রামের এবারের বই মেলায় ইসলামি বই রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় চট্টগ্রামের একুশে বই মেলাকে ঘিরে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। 

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে চসিক একুশের বইমেলা উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত করে শুরু হওয়া এ বই মেলায় শিশুদের বই উপহার দেন মেয়র রেজাউল। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কিত বই শিশুদের হাতে তুলে দেন তিনি।

আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন শেষে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ইসলামি-ধর্মীয় বই রাখা যাবে না এটা কোথাও বলা হয়নি। আমরা তো বলিনি ইসলামি বই রাখা যাবে না। অবশ্যই ইসলামি বই রাখা যাবে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই কোনো মৌলবাদী বই রাখা যাবে না। অনেক ইসলামি প্রকাশনা এখানে রয়েছে। কোনো মিথ্যা প্রপাগাণ্ডায় কান দেবেন না, গুজবে কান দেবেন না।

বই মেলা শুরু হতে বিলম্বের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে মেয়র রেজাউল বলেন, আগামীকাল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। যদিও প্রতিবছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এখানে একুশের বইমেলা করে থাকে। গতবার আমরা করোনার কারণে বইমেলা করতে পারিনি, দুর্ভাগ্য। এবারও দেরি হয়েছে একই কারণে। আমাদের সৌভাগ্য সবার মিলিত প্রচেষ্টায় একটু দেরিতে হলেও আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিতভাবে বইমেলা করতে পারছি। আমাদের এ আবেগের মাস, এ ভাষার মাসে আমরা একুশের বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেছি। যারা এসেছেন সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি দেশে ছিলাম না। মেলা কমিটি, প্যানেল মেয়ররা, আমাদের কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এ বইমেলা সফল করার জন্য। সব প্রকাশক, শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।  

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বইমেলা যেহেতু অমর একুশকে ঘিরে তাই মেলার মঞ্চ, বরাদ্দপ্রাপ্ত স্টলসজ্জা যাতে ভাষা দিবসের ইতিহাস ঐতিহ্য লড়াই সংগ্রাম সম্পর্কীয় হয়।

চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে বই মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১ লাখ ৩০ হাজার বর্গফুটে ২৫টি ডাবল ও ৭০টি সিঙ্গেল স্টল থাকছে। সঙ্গে থাকছে বঙ্গবন্ধু কর্নার, নারী লেখক কর্নার, শিশু কর্নার ও ওয়াইফাই জোন।

অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মাতৃভাষা দিবস, লোক উৎসব, রবীন্দ্র উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বিতর্ক উৎসব, নজরুল দিবস, বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন, মরমি উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, যুব উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, ঐতিহাসিক সাতই মার্চের আলোচনানুষ্ঠান ও ছড়া উৎসবসহ ১০ মার্চ সমাপনী অনুষ্ঠান। 

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়