Cvoice24.com

দৃষ্টির তারুণ্যের আড্ডায় পারভেজ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৯ মে ২০১৮
দৃষ্টির তারুণ্যের আড্ডায় পারভেজ

দৃষ্টির তারুণ্যের আড্ডায় বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ।

জীবনের অধিকাংশ সময় পার করেছেন তরুণ প্রজন্মের সাথে। তাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশেছেন, জেনেছেন তাদেও স্বপ্ন-চিন্তাভাবনা-পরিকল্পনা নিয়ে। আর এইসব স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।  দেশ ও দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেছেন নানা মাধ্যমে। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে। এছাড়া বিভিন্ন সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে। তিনি আর কেউ নন, শিক্ষাবীদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের সাবেক সভাপতি ও দৃষ্টি চট্টগ্রামের উপদেষ্টা প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ। 

গতকাল ৮ মে দৃষ্টি চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো দৃষ্টি’র বিশেষ আয়োজন ‘দৃষ্টি আড্ডা’ এর চতুর্থ পরিবেশনা। এ পর্বের আড্ডার অতিথি প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ। 
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক জিন্নাহ চৌধুরী, ব্যাংকার সাইফ চৌধুরী ও  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবপ্রযুক্তি ও জীনপ্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।

আড্ডার শুরুতে তিনি তার শৈশব, কৈশোর ও তার কর্মজীবনের একটি সারমর্ম উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “শৈশব-কৈশোরে দূরন্তপনার জন্য তার পিতা-মাতাকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল কিন্তু তিনি সবকিছুর পরেও কখনো পিতা-মাতার অবাধ্য হননি। যার ফলশ্রæতিতে আজ তিনি হাজারো মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র।’
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান বেকার সমাজের অবস্থা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় প্রচুর মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তারা প্রতিবছর পাশ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখছে। বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাতে ও ব্যবসা-বাণিজ্যেও সুযোগ দিচ্ছে, ঋণ দিচ্ছে, কিন্তু এত কিছুর পরেও দেশের বেকারত্বের হার কমছে না কোনভাবেই। এর সমাধান হিসেবে আমি মনে করি চাকরির আশায় বসে না থেকে স্ব-উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করা।’

জিন্নাহ চৌধুরী বলেন, ‘একজন পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য যে সকল মানবীয় গুণাবলী দরকার, তা প্রফেসর পারভেজের জীবন অনুসরণ করলেই পাওয়া যায়।’
ড. আদনান মান্নান বলেন, ‘খুব কম মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেননি, সেটিকে ভালোবাসা হিসেবে নিয়েছেন। এবং এই ভালোবাসার তাগিদে তিনি তার সারা জীবনের অর্জিত শিক্ষাকে দেশের তরে নিয়োগ করেছেন।’
দৃষ্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্যাংকার সাইফ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে যদি সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে তাদেও মাঝে হার না মানা মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে।’

দৃষ্টির সভাপতি মাসুদ বকুল বলেন, ‘দৃষ্টি সৃষ্টিলগ্ন থেকে যাদের ছায়াতলে সৃষ্টি-বৃদ্ধি করেছে তাদের মধ্যে প্রফেসর পারভেজ অন্যতম। আমরা তার প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।’
উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম হিরো, সহ-সভাপতি বনকুসুম বড়–য়া, সহ সম্পাদক মুন্না মজুমদার, রিদোয়ান আলম আদনান, সৌরভ নাথ, অনির্বাণ বড়ুয়া, উপসম্পাদক হাসান জাদিদ মাশরুখ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ।

সিভয়েস/এএইচ

90

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়