Cvoice24.com

হালিশহর থেকে অপহৃত রিকশাচালক হাটহাজারীতে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
হালিশহর থেকে অপহৃত রিকশাচালক হাটহাজারীতে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের বাসা থেকে বের হয়ে অপহরণ হওয়া মাহাবুব (ছদ্মনাম) রিকশাচালককে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। একইসঙ্গে অপহরণের সঙ্গে জড়িত বাকি আটজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি উদালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আটজন হলেন— শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী প্রকাশ কালু চেয়ারম্যান (৬৮), মো. খোকন (৩২), মো. আলা উদ্দিন (৩৭), মো. ইউসুফ (৩৬), শহিদুল্লাহ রাজু (৩৩), মো. নাজিম (৩৬), মো. জহিরুল ইসলাম(৪৮) এবং মো. সেলিম (৫১)।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম নগরের উত্তর হালিশহর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করতেন। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভিকটিম রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও ভিকটিম ফিরে না আসায় ভিকটিমের বাবা এবং তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে ভিকটিমের বাবা হালিশহর থানায় একটি হারানো জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। পরেরদিন ভিকটিমের বাবার মোবাইলে জনৈক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদার টাকা না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। ভিকটিমের বাবা গরীব এবং চাঁদা দেওয়ার মত সামর্থ না থাকায় ছেলের জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে বিষয়টি র‌্যাবকে অবহিত করে।

এরপর অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়ে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার বারৈহাট এলাকার একটি ভাড়া ঘর থেকে অপহৃত ভিকটিমসহ মোট দুই ভিকটিমকে পায়ে লোহার শিকল এবং হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে অপহরণকারী চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ নানান বয়সের লোকজনকে অপহরণ করে আটকে রাখে। পরে তাদের পায়ে শিকল বেঁধে মারধর করত এবং ভিকটিমদের পরিবারের কাছে বিভিন্ন অংকের মুক্তিপণ দাবি করতো। এছাড়া ভিকটিমদের পরিবারের থেকে মুক্তিপণ আদায় করার পরও ভিকটিমদের না ছেড়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিত। এতেই শেষ নয়; মধ্যযুগীয় কায়দায় দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত ইটভাটায় জবরদস্তিমূলকভাবে কাজ করাতো। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়