Cvoice24.com

কাজ না দেয়ায় চসিকের প্রকল্প পরিচালককে ঠিকাদারদের মারধর

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
কাজ না দেয়ায় চসিকের প্রকল্প পরিচালককে ঠিকাদারদের মারধর

নগর ভবনে নিজ কক্ষে ঠিকাদারদের হামলার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক। কাজ না দেওয়ায় এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ প্রকল্প পরিচালকের। 

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টাইগারপারস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিন ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল চারতলায় প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে এ হামলা চালায়। এসময় প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলকও ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। 

হামলার শিকার হওয়া ওই প্রকল্প পরিচালক হলেন ড. মো. গোলাম ইয়াজদানী। তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। স্থানীয় সরকার বিভাগ গত বছরের ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নেওয়া আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়। বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। এসময় ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যাতে কাজ দেওয়া হয় সে বিষয়েও আলাপ আলোচনা হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প পরিচালক লটারিবিহীন কাজ বিক্রির দায় দায়িত্ব না নেওয়ার কথা জানান। এর জেরেই  তার কক্ষে হামলা করে ক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা।

চসিক সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় ২৫টি লটের দরপত্রের বিপরীতে ১৩টি কাজ লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। যার প্রত্যেকটি দশ শতাংশ কম দরে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২টি কাজ ৭ শতাংশের বেশি কমিশনে বিক্রি করা হয়েছে। তারমধ্যে একটি কাজ বিক্রি করা হয় দেওয়া হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঠিকাদার সমিতিকে। সেই কাজটিই অন্য আরেক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে ঈদে মিলাদুন্নবীর খরচ মেটায় ঠিকাদার সমিতি। 

লটারি না হওয়া ১২টি দরপত্র নিয়ম অনুযায়ী ম্যাট্রিক্স পদ্ধতিতে করতে চেয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদাররা চেয়েছেন ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে। যে কারণে গত তিনমাস ধরে এ লটের কাজ ঝুলে আছে। প্রকল্পের কাজ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিকাদাররা এই হামলা চালিয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন ড. মো. গোলাম ইয়াজদানী।

এদিকে, এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য অবশ্যই আমরা অ্যাকশনে যাচ্ছি। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

কারা হামলা চালিয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘নেতৃত্বে যারাই থাকুক, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো। আপাতত সাহাবউদ্দিন নামে একজনের নাম সামনে এসেছে। আমি শুনেছি কিছুদিন আগেও তারা এলজিইডিতে কাজ না পেয়ে এ ধরণের হামলা চালিয়েছে। এ কারণে সেখান থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়