Cvoice24.com

টাইম লাইন ১টা: ভোট পড়েছে ১০ শতাংশেরও নিচে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
টাইম লাইন ১টা: ভোট পড়েছে ১০ শতাংশেরও নিচে

দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, সংঘাত-সহিংসতাকে সাথে নিয়েই চলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ৭৩৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলছে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। 

নগরের ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ ভোটার এবার তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ভোটাররা কেন্দ্রমুখী হয়নি। এরজন্য বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার সমর্থিত মনোভাবাপন্ন ভোটার ছাড়া অন্য মতাবলম্বিদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরও নানাভাবে ভোট থেকে দূরে রাখা হয়েছে। হামলা-মামলার পর এজেন্টদের অনেক জায়গায় বের করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইব্রাহীম হোসেন বাবুল বলেছেন, আমি সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়েছি। সেখানে আমি দেখতে পেয়েছি উৎসবের সহীত ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। বিচ্ছিন্ন যে কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোই বিএনপির নেতাকর্মীরা করেছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা মূলত এসব হামলা চালিয়েছেন। এবং আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছেন।

ভোটের গ্রহণের শুরুর দিকে কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন থাকলেও অনেক কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। ভোটের শুরুতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ভোট নেওয়ার দায়িত্বে আছেন ৭৭৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার। প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৬ জন করে এবং ৪১৬টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে সদস্য নিয়োজিত আছে। এছাড়া ২৫ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৪১টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামানো যায়নি নির্বাচনী সহিংসতা। সরাইপাড়া ও পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ঝরলো দুই প্রাণ। নগররের বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। 

নির্বাচনে নৌকার হয়ে লড়ছেন মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আর ধানের শীষ প্রতীকে ডা. শাহাদাত হোসেন, মিনার প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, আম প্রতীকে এনপিপির আবুল মনজুর, হাতপাখায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী। 

এছাড়া ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন এবং ১৩টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়