Cvoice24.com

চট্টগ্রাম সিটির ভোটার প্রতি ইসির খরচ ‘২২৯ টাকা’

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২১
চট্টগ্রাম সিটির ভোটার প্রতি ইসির খরচ ‘২২৯ টাকা’

প্রতীকী ছবি

সংঘাত ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতি ভোটে নির্বাচন কমিশনের খরচ হয়েছে ২২৯ টাকা সাত পয়সা। যদিও চসিক নির্বাচনে প্রতি ভোটে খরচ ধরা হয়েছিল ৫২ টাকা ১৪ পয়সা। কিন্তু ভোটের হার কম হওয়ায় এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯ টাকায়। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও কর্মকর্তাই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।  

২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৩ জন। এবার চসিক নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে ভোটার প্রতি ৫২ টাকা হারে প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু ভোটের হার কম হওয়ায় ভোটার প্রতি কমিশনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯ টাকায়। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ভাতা, ভোটের ব্যবহৃত খুচরা উপকরণ ক্রয় ব্যয়, জ্বালানি ও পরিবহন ভাড়া খরচ, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের ভাতা, কারিগরি টিমের ভাতা, প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য খরচ। 

এসবের মধ্যে প্রশিক্ষণ খাতে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার ৮০০ টাকা ও নির্বাচনে নিয়োজিত প্রায় ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের জন্য বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে।  

নির্বাচন কমিশনের অর্থ ও জেনারেল শাখা সূত্রে জানা যায়, ভোটের আগে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটদান ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানাতে ভোটারদের জন্য একটি মক নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সেই খাতেও আলাদা করে একটা অংশ ব্যয় হয়েছে। গত সিটি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারকে তিন হাজার টাকা দিলেও এবার চার হাজার টাকা, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দু্ই হাজার টাকার বদলে তিন হাজার টাকা এবং পোলিং অফিসারকে এক হাজার টাকার বদলে দুই হাজার টাকা দেয়া হয়। গত নির্বাচনের তুলনায় এবার প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের পারিশ্রমিকও বেড়েছে তাই এবারের নির্বাচনে বাজেট বেড়েছে। সব মিলিয়ে ১০ কোটি টাকার মত নির্বাচনী ব্যয় হয়েছে। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন ৭৭৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার। প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৬ জন করে এবং ৪১৬টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে সদস্য নিয়োজিত ছিল। এছাড়া ২৫ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৪১টি টিম মোতায়েন করা ছিল। 

নির্বাচনে নৌকার হয়ে লড়েছেন মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আর ধানের শীষ প্রতীকে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৫৯ ভোটের বিশাল ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে পরাজিত করেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী রেজাউল পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট। আর ধানের শীষ নিয়ে শাহাদাত ভোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯টি। ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮ ভোটের মধ্যে শতকরা হারে ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। 

এছাড়া ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন এবং ১৩টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। একটি ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়