Cvoice24.com

আপিলেও পাত্তা পেলনা মালিকরা, ভাঙতেই হবে চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আপিলেও পাত্তা পেলনা মালিকরা, ভাঙতেই হবে চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা

অবৈধ ইটভাটা ভাঙতে অভিযান শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি

চট্টগ্রামে পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ ইটভাটা বন্ধের পদক্ষেপ থামাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরাণাপন্ন হলেও সেখানে পাত্তা পেলেন না ২৩ ইটভাটার ১৮ মালিক। অবধৈ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এদিকে হাইকোর্টের এ আদেশ পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এর আগে এসব অবৈধ ইটভাটা ভেঙে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে (চট্টগ্রাম) নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আপিলের শুনানিতে ইটভাটার মালিকদের আবেদনের বিপক্ষে আদেশ আসায় অবৈধ ইটভাটা ভাঙতে আর কোনও বাধা রইলো না। তবে এ আপিলের বিষয়ে আগামী ২৯ আগস্ট আপিল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। 

চেম্বার জজ আদালতের আদেশের বিষয়টি  রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।

তিনি জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২৩ ইটভাটার ১৮ জন মালিকের পক্ষে করা আবেদন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে ইটভাটা মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহমুদা বেগম। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ কামরুল হোসেন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।

এর আগে চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে গত ৩১ জানুয়ারি বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্ধ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে ডিসি ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে (চট্টগ্রাম) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আদালতের নির্দেশ অনুসারে ইটভাটা বন্ধের কর্যক্রম শুরু করলেও লোহাগড়া ও চন্দনাইশ উপজেলাসহ কিছু কিছু জায়গায় ইটভাটা বন্ধ না করে শুধু জরিমানা করে। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রেক্ষিতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ও এসএম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, জরিমানা করার পরেও ওই ইটভাটাগুলো আবারও চলছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে। ওইদিন আদালতে শুনানি শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে জেলার যে ৭১টি ইটভাটাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে, তাসহ লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত সব অবৈধ ইটভাটা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্ধ করে আদালতে হলফনামা দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফায় ৭৭টি ইটভাটায়ে অভিযান চালিয়ে ২৫টি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৫২টির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারো অভিযান শুরু হবে। চট্টগ্রামে ৩০০ বেশি ছোট-বড় অবৈধ ইটভাটা রয়েছে বলেও জানান তারা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়