Cvoice24.com

মুরাদপুরে যৌন নিপীড়নকারী হেফজখানার পরিচালক গ্রেপ্তার

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১১, ৪ মার্চ ২০২১
মুরাদপুরে যৌন নিপীড়নকারী হেফজখানার পরিচালক গ্রেপ্তার

মুরাদপুরের ‘রহমানিয়া তাহফিজুল কোরআন বালক বালিকা একাডেমি’তে অভিযান চালায় পুলিশ। 

করোনাকালে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে বন্ধ। সেখানে ধর্মীয় শিক্ষার নামে মুরাদপুর মোড়ে একটি পাঁচতলা ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোস্টেলসহ হেফজখানা চালাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন হাফেজ। তাদেরই একজন হেফজখানার দায়িত্বে থাকা হাফেজ নাজিম উদ্দিন অনেক দিন ধরে পালা করে সেখানে পড়ুয়া শিশুদের বলৎকার করছিলেন। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসারটির পরিচালক নাজিমকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ এবং নিজেদের হেফাজতে নেয় নানা সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় ছয় শিশুকে।    

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে নগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর মোড়ের মক্কা হোটেলের পাশেই অবস্থিতি ‘রহমানিয়া তাহফিজুল কোরআন বালক বালিকা একাডেমি’ নামে এ মাদরাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানে থাকা পাঁচলাইশ থানার এস আই মো. বাবু মিয়া সিভয়েসকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত স্যারের নেতৃত্বে আমরা ওই হেফজখানায় অভিযান চালিয়ে পরিচালক হাফেজ নাজিম উদ্দিনকে আটক করি। তার পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সী ৪৫ জন ছেলে শিশু হেফজখানায় পড়ালেখা করতো। কিন্তু হাফেজ নাজিম এরকম ৭/৮ জন ছেলেকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত বলৎকার করে আসছিল। তার যৌন নিপিড়নের শিকার শিশুগুলো তাদের পরিবারকে এসব কথা বলার কথা জানালে তাদের চোখ বন্ধ করে মারধর করতো। এরপরও এক শিশু তার পরিবারকে খবর দিলে ওই পরিবার থানার দ্বারস্থ হলে আমরা সেখানে অভিযান চালায়। হাফেজ নাজিমের নিপীড়নের শিকার ৬ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন সময়ে তার যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার বর্ণনা দিয়েছে।’

এ ঘটনায় এক শিশুর বড় ভাই নাজিমকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ওসি।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়