Cvoice24.com

কারাগারে লুকানোই রুবেলের অভ্যাস, এনিয়ে তিনবার 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৬ মার্চ ২০২১
কারাগারে লুকানোই রুবেলের অভ্যাস, এনিয়ে তিনবার 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিখোঁজ হাজতি রুবেল।

চট্টগ্রাম কারাগারে তালাবদ্ধ রুম থেকে উধাও হওয়া হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেলের অভ্যাসই কারাগারে লুকিয়ে থাকা! এরআগেও তিনি ২০১৮ সালে দুইবার কারা অভ্যন্তরে লুকিয়ে ছিলেন। এবার নতুন করে গত ৯ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় জেলে গিয়ে আবার লুকিয়ে গেলেন। কারা কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ট সূত্র সিভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

এরআগে ২০১৮ সালে নরসিংদীর রায়পুরার ফরহাদ হোসেন রুবেল কারাগারে গেলে সেই সময় দুইবার কারাগারের ড্রেনে ও ছাদে আত্মগোপন করেন। সেই সময় ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর দুই বারই তাকে উদ্ধার করে কারা কর্তৃপক্ষ। এবারও তিনি সেই কাজ করেছেন ধারণা করে কারা কর্মকর্তারা আশা করছেন, রাতের মধ্যেই কারাগারের ভেতর থেকে তার সন্ধান মিলবে। 

রুবেলের উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান কোতোয়ালী থানায় করা জিডিতে (জিডি নম্বর-৪১৭) উল্লেখ করেন, ‘শনিবার (৬ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে তালামুক্ত করার পর ফরহাদ হোসেন ওরফে রুবেল নামে এক হাজতিকে পাওয়া যাচ্ছে না। যার হাজতি নম্বর ২৫৪৭/২১। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আসেন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায়।’

কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কারাগারের ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের ‘পানিশমেন্ট’ ওয়ার্ডে হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেলসহ অন্য আসামিদের রুমে তালাবদ্ধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবার ভোর ৬টায় যখন আবার কক্ষের তালা খোলা হয় তখন হাজতিদের রোলকল করা হয়। তখনই সন্ধান মিলছিল না রুবেল নামের ওই হাজতির। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেও তালাবদ্ধ একটা ভবন থেকে একজন হাজতির হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে কারা অভ্যন্তরে। কারা অভ্যন্তরেই ওই হাজতি লুকিয়ে থাকতে পারে ধারণা করে সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। বাজানো হচ্ছে পাগলা ঘণ্টা এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশও কারাগারে প্রবেশ করানো হয়েছে। জিডির পর তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এস আই আইয়ূব উদ্দিনও কারাগারে প্রবেশ করেছেন।  

কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান ও জেলার মো. রফিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন না ধরায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

রুবেল সদরঘাট থানার এসআরবি রেল গেইট এলাকায় ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে তুচ্ছ ঘটনায় আবুল কালাম আবু নামের এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে বুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাম হাসপাতালে মারা যান। ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হত্যার অভিযোগে ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রি পাড়া থেকে ফরহাদ হোসেন রুবেলকে গ্রেপ্তার করে সদরঘাট থানা পুলিশ। ওই মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে যান রুবেল। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়