Cvoice24.com

হরতালে বিপাকে ৫ ট্রেন, লণ্ডভণ্ড সোনার বাংলা এক্সপ্রেস

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৮ মার্চ ২০২১
হরতালে বিপাকে ৫ ট্রেন, লণ্ডভণ্ড সোনার বাংলা এক্সপ্রেস

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের জেরে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের আন্তঃনগর সোনারবাংলা এক্সপ্রেস। 

রবিবার (২৮ মার্চ) সকালে প্রায় আধ ঘন্টার তাণ্ডবে ভাংচুর করা হয়েছে ট্রেনটির প্রায় ১১৭টি গ্লাস। তাছাড়া ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে ট্রেনের ইঞ্জিনের ৭ থেকে ৮টি গ্লাস। বাদ যায়নি সম্প্রতি যুক্ত হওয়া চীন ও ইন্দোনেশিয়ান কোচগুলো। সব মিলিয়ে হরতালের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ট্রেনটির। এতে বেশ ক’জন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম সিভয়েসকে বলেন, ‘সোনার বাংলা ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। ট্রেনটি  তালশহর এলাকা অতিক্রম করার পর হরতাল সমর্থনকারীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে।’ তবে দুপুর নাগাদ সেখানকার পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে এখনও পরিস্তিতি থমথমে। রেললাইন জুড়ে সতর্ক অবস্থানে আছি আমরা। আপাতত ট্রেন চলছে না।’ 

হেফাজতের হরতালের প্রভাবে চট্টগ্রাম স্টেশন ফাঁকা। এদিকে এমন তাণ্ডবের পর ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হয় ভৈরব বাজারের দিকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানেই যাত্রী নিয়ে আটকে আছে ট্রেনগুলো। এদিকে পরিবহণ  বিভাগের এক কর্মকর্তা সিভয়েসকে জানান, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে যাত্রীদের কেউ গুরুতর আহত হয়নি। 

রেলওয়ে সূত্র বলছে, মহাবিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক অন্তত ৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন। সকাল থেকে দুই ধাপে বিরতিতে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলো। 

সোনার বাংলা ট্রেনে তাণ্ডবের জেরে মহানগর প্রভাতী আটকে আছে আমীরগঞ্জে (ভৈরবের কাছাকাছি), সুবর্ণ এক্সপ্রেস আটকে আছে কসবায়, কালনী উপকূল এক্সপ্রেস আটকে আছে আজমপুরে, উপকূল এক্সপ্রেসের আটকে আছে আখাউড়ায়। সকাল থেক দুই ধাপে বিরতিতে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছাকাছি স্টেশনগুলোতে আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে আটকে আছে বলে জানিয়েছে সমর্থিত সূত্রগুলো। 

এদিকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া-হাটহাজারী-নাজিরহাট রুটে শিডিউলে থাকা ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এ রুটে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ট্রেন পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ গুপ্ত সিভয়েসকে বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ নয়। চট্টগ্রাম থেকে সব ট্রেন সময়মত ছেড়ে যাচ্ছে। যেমন- পাহাড়িকা, সাগরিকা, কর্ণফুলী ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে।’ মাঝ পথে ট্রেনগুলো আটকে থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় ট্রেন পরিচালনা বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা আসেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওদিকে বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে শুনলাম। ওটা অন্য ডিভিশন।’

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়