লকডাউনের পঞ্চম দিনে ১০ ম্যাজিস্ট্রেটের ২৪ মামলা
সিভয়েস প্রতিবেদক
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার এক সপ্তাহের কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর ওষুধের দোকান ছাড়া খাবার ও নিত্যপণ্যের দোকান বন্ধ রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয় ওই নির্দেশনায়। লকডাউনের প্রথম দিন সরকারি বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি পথেঘাটে। তবে দিন পেরুতে না পেরুতেই আবারো সেই নিত্যদিনের চিত্র দেখা গেছে নগরজুড়ে। রাস্তাঘাটে গণপরিবহনের দেখা না মিললেও সাধারণ মানুষের কমতি নেই পথজুড়ে।
রয়েছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন। নামিদামি শপিং মলের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পুলিশের লুকোচুরিতে অনেক জায়গায় খোলা হচ্ছে সব ধরনের দোকানপাট। সবমিলিয়ে নামেই ‘লকডাউন’ বা কঠোর নির্দেশনা। বাস্তবে স্বাভাবিক সময়ের নিত্যদিনের চিত্র।
জেলা প্রশাসনের থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও থেমে নেই কিছু। লকডাউনের পঞ্চম দিনেও লকডাউন সফল করতে মাঠে ছিল ১০ ম্যাজিস্ট্রেট। নগরজুড়ে অভিযান চালিয়ে তারা বিভিন্ন অপরাধে ২৪টি মামলা করেছেন। এসব মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৭ হাজার ৭শ টাকা জরিমানাও আদায় করেছেন।
খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন। তিনি ৩টি মামলায় ১৭শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ৭টি মামলায় দেড় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় ৩টি মামলায় ১২শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক কোতোয়ালী ও নিউমার্কেট এলাকায় ১টি মামলায় ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ৮টি মামলায় ১ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় ১টি মামলায় ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান মেহেবুব পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করেন।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও প্লাবন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।