হেফাজতের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে সিআইডি
সিভয়েস প্রতিবেদক
২৬ মার্চে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও পটিয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া ৭ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একই সাথে তারা দেশের অন্য স্থানে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও তদন্ত করবে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের একাধিক মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। ২০১৬ সালের পাঁচটি মামলা ও সাম্প্রতিক সময়ের ১৮টি মামলাসহ মোট ২৩টি মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। আশা করছি, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ করব এবং যারা এখনও আইনের আওতায় আসেনি তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করব।’
ইতোমধ্যে যেসব হেফাজত নেতা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রয়োজনে তাদেরও সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলেও জানান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
হেফাজতের তাণ্ডবের পাঁচদিন পর গত ৩১ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা ভবনে হামলা, ভূমি অফিসে ভাঙচুর, ডাকবাংলোয় আগুন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ছয়টি ও পটিয়াতে একটি মামলা করে পুলিশ। হাটহাজারী থানায় চারটি ও পটিয়ায় একটি মামলার বাদী পুলিশ। আর ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা দায়ের করেন দুটি মামলা। তবে প্রায় দুই হাজার জনকে আসামি করা হলেও কারো নাম নেই এসব মামলায়। সাত মামলার সব আসামিই অজ্ঞাত।
থানায় হামলার অভিযোগে করা মামলায় অজ্ঞাত ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার জনকে করা হয়েছে। ভূমি অফিসের করা দুই মামলায় অজ্ঞাত ২০০ জন করে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ইতোমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা থানায় হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। হাটহাজারীতে চারজন নিহত হন। নিহতের জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী থানা, ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা চালান। তাঁরা হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কের ওপর দেয়াল তৈরি করে তিন অবরোধ করে রাখেন।