Cvoice24.com

শাহাদাতকে তৃতীয় দফাও রিমান্ডে পায়নি পুলিশ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২১ এপ্রিল ২০২১
শাহাদাতকে তৃতীয় দফাও রিমান্ডে পায়নি পুলিশ 

ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে নাশকতা ও চাঁদাবাজির দুই মামলায় আবারও রিমান্ডে চেয়ে পায়নি পুলিশ। এনিয়ে তিনবার তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে নিরাশ হতে হলো পুলিশকে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেয়। একই সাথে শাহাদাতের জামিন আবেদনও না মঞ্জুর করে আদালত। 

এরআগে গত ১৫ এপ্রিল কোতোয়ালী থানার নাশকতার মামলা ও গেল ৩১ মার্চ চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া চাঁদাবাজির মামলায়ও পুলিশ তাকে রিমান্ডে পায়নি। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ সিভয়েসকে বলেন,‘করোনার কারণে আসামিদের কারাগারে রেখেই আমরা ভার্চুয়ালি শুনানি করেছি। আমারা শাহাদাত হোসেনের জামিন আবেদন করেছি। অন্যদিকে পুলিশ কোতোয়ালী থানার নাশকতা ও চকবাজার থানার চাঁদাবাজির মামলায় প্রত্যেকটিতে সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আাদলত জামিন রিমান্ড উভয় আবেদনই না মঞ্জুর করেছে। ‘ 

জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না শাহাদাতের 

গত ২৯ মার্চ দুপুর তিনটা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এসময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং পুলিশ সদস্যরাও। হামলার পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সম্প্রতি নগর মহিলা দলের পাঁচ নেত্রী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নাশকতার এক মামলা ডা. শাহাদাতের জামিন মিলেছে। 

২৯ মার্চ গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু'টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ট্রাফিকের পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নাসিমন ভবন থেকে গ্রেপ্তার ১৫ জনকে আসামি না করায় সেই মামলায় এজহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে।  

অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত। তাকে কোতোয়ালীর দুই মামলাও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়