বাবুল আক্তারের করা মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দিল পিবিআই
সিভয়েস প্রতিবেদক
পাঁচ বছর আগে স্ত্রী হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদি হয়ে যে মামলা করেছিলেন তার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই।
বুধবার দুপুর একটার পর পিবিআইয়ের দুই সদস্য আদালতের পাঁচলাইশ থানার প্রসিকিউশন শাখায় মিতু হত্যার ডকেটসহ ফাইনাল রির্পোট জমা দেয়। এতে মামলাটি নিষ্পত্তি করে মামলায় বাদি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তার কথা উল্লেখ করা হয়।
এরআগে পৌনে একটার দিকে মিতুর বাবা পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের প্রকাশ্য সড়কে গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই দিনই স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। অনেকবার আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি ছিল না। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি এতোদিন। গোয়েন্দা পুলিশ এরআগেও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।
গতকাল মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা মেলায় বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে আইনিভাবে বাদিকে গ্রেপ্তারের সুযোগ না থাকায় আদালতে তাকে হাজির করার পর তার পিতার মোশাররফ হোসেনের করা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। তাকে বুধবার আদালতে হাজির করে নতুন মামলায় দশ দিনের রিমান্ড চাইবে পিবিআই।