Cvoice24.com

স্ত্রী হত্যায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে বাবুল আক্তার 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১২ মে ২০২১
স্ত্রী হত্যায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে বাবুল আক্তার 

বাবুল আক্তার।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। 

বুধবার পিবিআইয়ের সাত দিনের আবেদন শেষে মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। 

সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এর আগে, দুপুরে পাঁচ বছর আগে বাবুল আক্তার বাদি হয়ে স্ত্রী হত্যায় যে মামলা দায়ের করেছিলেন একই ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় নতুন একটি মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মামলায় প্রধান আসামি বাবুল ছাড়াও আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৫। 

আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করা হয়। বাবুল আক্তার ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন— কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেসামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম, সাইফুল ইসলম সিকদার, শাহজাহান মিয়া। 

১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের প্রকাশ্য সড়কে গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই দিনই স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অনেকবার আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি ছিল না। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি এতোদিন। গোয়েন্দা পুলিশ এরআগেও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। 

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা মেলায় বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে আইনিভাবে বাদিকে গ্রেপ্তারের সুযোগ না থাকায় আদালতে তাকে হাজির করার পর তার পিতার মোশাররফ হোসেনের করা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই সাথে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়