Cvoice24.com

মোহরায় বসতঘরের মেঝে ফেটে বের হওয়া গ্যাসের নমুনা গেল বাপেক্সে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১০ জুন ২০২১
মোহরায় বসতঘরের মেঝে ফেটে বের হওয়া গ্যাসের নমুনা গেল বাপেক্সে

চট্টগ্রাম নগরের মোহরায় একটি বাসায় গভীর নলকূপের পানির সঙ্গে অনবরত বের হওয়া গ্যাসের কারণ উদঘাটনে নমুনা পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেডে। বুধবার রাতে বাপেক্সের দুই সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম ঢাকা থেকে মোহরায় আসেন। পরে তারা রাতে ও সকালে দুই দফা পরীক্ষা করে নমুনা নিয়ে তা ঢাকায় বাপেক্সের ল্যাবে পাঠায়। 

প্রাথমিক পরীক্ষার পর সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ জানাতে না পারলেও তাদের ধারণা— ব্যায়োগ্যাস কিংবা পকেট গ্যাস থেকে গভীর নলকূপের পানির সঙ্গে এই গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে। এরপরও কোনও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলছে কিনা তার জন্য প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। 

বাপেক্সের উপ ব্যবস্থাপক হামিদুজ্জামান সিভয়েসকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঢাকা থেকে দুইজন মোহরায় এসেছি। রাতে ও সকালে দুই দফা নমুনা নিয়েছি। এখন তা ঢাকার ল্যাবে নিয়ে যাচ্ছি। আগামী রোববার বা সোমবার রিপোর্ট পেলে এসব কি গ্যাস তা বলতে পারব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে বের হওয়া গ্যাস লিকেজ থেকে নয়। ব্যায়োগ্যাস কিংবা পকেট গ্যাস থেকে গভীর নলকূপের পানির সঙ্গে এই গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে। তবে ১৮০ ফুট গভীর থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস বের হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা দুই তিন কিলোমিটার গভীরে গেলেই হয়তো প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপরও আমরা নমুনা নিয়ে ল্যাবে নিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষার পর জানা যাবে।’

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=cT_OnqvHjOI

এসময় সতর্কতামূলক কি ব্যবস্থা নিতে হবে তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান টিমের অপর সদস্য বাপেক্সের উপ ব্যবস্থাপক আব্দুল মোবিন। 

গত মঙ্গলবার রাত থেকে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার মোহরায় একটি বসতঘরে মেঝের মাটি ফেটে বুদবুদ করে তীব্রবেগে গ্যাস বের হতে থাকে। ওই রাতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯— এ ফোন করেও সংশ্লিষ্ট কোনও কর্তৃপক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন উত্তর মোহরা কালন সওদাগরের বাড়ির তসলিম উদ্দীন। 

এরপর বুধবার সকালে সিভয়েসে ভিডিও সহ ‘মোহরায় বসতঘরের মেঝে ফেটে বের হচ্ছে গ্যাস, ৯৯৯-এ ফোনেও মিলেনি সমাধান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সকাল ৮টার পর নিউজটি প্রকাশিত হলে সকাল ১১টার দিকে দুই দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা। তারাও কোনও সমাধানে পৌঁছতে না পেরে বিকেলের দিকে ঢাকা থেকে ডাকা হয় বাপেক্সের প্রতিনিধি দলকে। একই দিন ঘটনাস্থলে যায় সরকারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও। 

এদিকে বাপেক্সের বিশেষজ্ঞ দল আশপাশে থাকা সব গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দেন। এতে ওই বাড়িসহ আশপাশের সব বাসা-বাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও পানির সঙ্গে গ্যাস বের হওয়া বন্ধ হয়নি। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাড়ির মালিক তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘ঘরের মধ্যে একটি মোটর বসিয়েছিলাম। পরে অবশ্য সেটি খুলে নেওয়া হয়। কাল রাতে হঠাৎ করে পানির সঙ্গে প্রচণ্ড স্প্রিডে বুদবুদ করে বের হচ্ছে গ্যাস। বুধবার থেকে স্ল্যাব খুলে নেওয়ায় আরও স্প্রিডে গ্যাস বের হচ্ছে। যেহেতু সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে রির্পোট করার পর দেখি কি আসে রির্পোটে।’ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়