Cvoice24.com

রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা সনদপত্র দিয়ে দুদকের জালে চসিকের সাবেক কাউন্সিলর বালিসহ ৬ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ১৪ জুন ২০২১
রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা সনদপত্র দিয়ে দুদকের জালে চসিকের সাবেক কাউন্সিলর বালিসহ ৬ 

অবৈধ উপায়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় সনদপত্র দিয়ে ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

রোববার বিকেলে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সনদ সহকারী সুবর্ণ দত্ত, দালাল মো. সিরাজুল ইসলাম, রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার স্ত্রী অহিদা এবং তার মেয়ে মেহের জান। 

দুদক সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা নাগরিক অহিদ ও তার ‘পিতা’ ইসমাইল ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয়তা সনদপত্র পাওয়ার জন্য চসিকের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ইসমাইল বালির কাছে আবেদন করলে ওই দিনই তারা জাতীয়তা সনদপত্র পান। পিতা-পুত্র জাতীয়তা সনদ পাওয়ার পর আবার জন্ম নিবন্ধন ফরমের জন্য আবেদন করলে একই বছরের ৭ নভেম্বর জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রও দেন কাউন্সিলর বালি। পরবর্তীতে দুজনই পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। সেখানে তাদের পরিচয়ের সতত্য যাচাইয়ের বিষয়টি এড়াতে দালাল হিসেবে পরিচিত সিরাজুল ইসলামকে ধরেন অহিদ ও তার পিতা ইসমাইল। 

জাতীয়তা সনদপত্র ও জন্মনিবন্ধন দেওয়ার পর তাদের দুজনের সেই পাসপোর্টের ফরমেও কাউন্সিলর ইসমাইল বালি সত্যায়িত করেন। ওই সময়ে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর দুদকের অভিযানে পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিস থেকে দালাল সিরাজুল ইসলাম আটক হন। সেই সময় অহিদ ও তার পিতা পরিচয়দানকারী ইসমাইলকে জালিয়াতির মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি। একই সাথে অহিদের পিতা ইসমাইল ও মাতা মেহের জান নন বলেও তদন্তে বের হয়ে আসে। তবে তারা সকলেই রোহিঙ্গা এবং সৌদি প্রবাসী। শুধুমাত্র কাউন্সিলর ইসমাইল বালির দেওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র ও জাতীয়তা সনদপত্রের ওপর ভিত্তি করেই চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার নির্বাচন কর্মকর্তা অহিদকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেন। বালির এই কাজে সহযোগিতা করেন ওই ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সনদ সহকারী সুবর্ণ দত্ত। 

দুদকের উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন সিভয়েসকে জানান, তারা মূলত একে অপরের যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে ভুয়া পরিচয়, নাম ঠিকানা ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান ও অবৈধ উপায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে একে অপরের যোগসাজশে স্মার্ট কার্ড প্রদান করে দণ্ডবিধি’র ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়