Cvoice24.com

রোহিঙ্গাকে ভোটার করে দুদকের মামলার জালে ইসির কর্মচারী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ১৫ জুন ২০২১
রোহিঙ্গাকে ভোটার করে দুদকের মামলার জালে ইসির কর্মচারী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জন

হাটহাজারী মির্জাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার।

অবৈধ উপায়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান ও ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করণের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাটহাজারীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। 

মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে দুদক জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।

আসামিরা হলেন— ডবলমুরিং নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাইফুদ্দিন চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, হাটহাজারী মির্জাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার, ওই ইউপির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, জন্মসনদ প্রস্তুতকারী মোহাম্মদ বেলাল, দালাল মো. আব্দুল ছালাম, ও তার পিতা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, রোহিঙ্গা লাকী আক্তার এবং নাজির আহমেদ। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা নাগরিক লাকী আক্তারকে (তার প্রকৃত নাম রমজান বিবি) ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সরাসরি জড়িত ছিলেন নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন। জয়নাল নিজ বাসায় বসে নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ ব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রি করেন। যাতে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাইফু উদ্দিন চৌধুরী সহায়তা করেন। পরবর্তীতে রোহিঙ্গা লাকী ও তার দুই মেয়েকে পাসপোর্ট করতে অসৎ উদ্দেশ্যে জাতীয়তা সনদপত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করে হাটহাজারীর ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নুরুল ইসলাম, জন্মসনদ প্রস্তুতকারী মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার, দালাল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও তার পিতা মো. আ. ছালাম।

তারা মূলত একে অপরের যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে ভুয়া পরিচয়, নাম ঠিকানা ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান ও অবৈধ উপায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে একে অপরের যোগসাজশে স্মার্ট কার্ড প্রদান করে দণ্ডবিধি’র ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়