Cvoice24.com

গাড়ি না পেয়ে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা নারী, নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন ওসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২৭ জুলাই ২০২১
গাড়ি না পেয়ে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা নারী, নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন ওসি

চলছে কঠোর লকডাউন। সেই লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে সিএমপির ডবলমুরিং থানার ওসি মহসীনও। এমন সময় নগরের পাঠানটুলি গায়েবী মজসিদ এলাকায় দেখলেন এক লোক পুলিশি টহলকে উপেক্ষা করে এদিক ওদিক ছুটছেন। ওসি তাকে কাছে ডেকে লকডাউনেও ঘুরাঘুরি কারন জানতে চান। তখন কিছুটা ভয় কিছুটা আশা নিয়ে ভ্যান গাড়ি চালক রেজাউল করিম ওসিকে বলেন, ‘স্যার আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা। লকডাউনের কারণে কোনও গাড়িই পাচ্ছিনা। হাসপাতালে নিতে তাই নিরুপায় হয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছি কোনও গাড়ি পাই কিনা তা দেখার জন্য।’

এসময় ওসি মহসীন তাৎক্ষণিক ফোন করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে পাঠান। তখন অ্যাম্বুলেন্স আসাতে অন্তত ১০ মিনিট সময় লাগবে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে ফুটপাতে বসেই প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছিলেন রেজাউলের স্ত্রী। এমন কষ্টের দৃশ্য দেখে মোহাম্মদ মহসীন অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় না থেকে নিজের সরকারি গাড়িতে তুলে দেন ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে। দ্রুত সময়ে হাসপাতালে নেওয়ার দশ মিনিটের মধ্যেই একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। 

সিএমপির গুড পুলিশিংয়ের ব্রান্ড হিসেবে পরিচিত আলোচিত ওসি মহসীনের এমন মানবিকতায় খুব খুশী ভ্যান চালক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ ওসি স্যারের গাড়ি না পেলে হয়তো আমার সন্তান মারা যেত। কারণ হাসপাতালে পৌঁছার মাত্র ১০ মিনিট পর অপারেশনের মাধ্যমে আমার স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। গাড়ি খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে যদি আরও দেরি হত, তবে আমার সন্তান না বাঁচার সম্ভাবনা ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়। পাশাপাশি ওসি স্যারের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যাতে উনাকে এর পুরস্কার দেন।’

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘চলমান লকডাউন কার্যকরে আমি থানার বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছিলাম। এ সময় রেজাউল করিমকে সড়কে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে ডাকি। লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান তার স্ত্রী গর্ভবতী। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু গাড়ি নেই কোথাও। তাই গাড়ির খোঁজে হাঁটাহাঁটি করছেন। এরপর আমি নিজের গাড়িতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। সেখানে ভর্তি করানোসহ যাবতীয় ওষুধপত্রও পুলিশই ব্যবস্থা করে দেয়। আমি খোঁজ খবর নিয়েছি হয়তো মঙ্গলবার দেখতে যাব মা-ছেলে দুজনকে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়