অনিয়মের গোমর ফাঁস করে নির্যাতনের শিকার চমেক হাসপাতালের সাবেক কর্মচারী
সিভয়েস প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওষুধ ব্যবসা, এম্বুলেন্স ব্যবসা, দালালির দৌরাত্মের কথা ফাঁস করায় সাবেক এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
এনিয়ে ভুক্তভোগী তাইজুল ইসলাম সোহেল (২৭) নামে সাবেক ওই কর্মচারী থানায় মামলাও করেছেন। বছর খানেক আগে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ছিলেন হিসেবে চমেক হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) নগরের পাচঁলাইশ থানায় রুপণ দাশসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পাচঁলাইশ থানায় মামলাটি করেন তিনি।
মামলার অন্য দুই আসামি হলো— নেজাম উদ্দিন (৩৭) ও সুজন (৩৫)।
সোহেল জানান, গতকাল (সোমবার) চমেক হাসপাতাল স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে অপরিচিত কয়েকজন এসে তাকে এসে বলে, ‘রুপণ দা আপনাকে দেখা করতে বলেছে।’ এরপর তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে একটি সিএনজি করে চমেক হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর রুপণসহ উপস্থিত অনেকেই তাকে বাঁশের টুকরো এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক অনেক কিছু বলতে বাধ্য করে। শেষে তাকে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করে বাইরে বের করে দেয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুপণ দাশের ওষুধ ব্যবসা, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা, দালালির দৌরাত্ম্য নিয়ে কথা বলার কারণে চমেকের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির কার্যালয়ে নিয়ে তাকে অসহনীয় মারধর করা হয়। কর্মচারীদের নির্ধারিত মেয়াদের পূর্বেই চাকরিচ্যুত করার মূলেও ছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রুপণ দাশ জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাজে নিয়োজিত থাকায় তার বিরুদ্ধে ভ্রান্ত অপপ্রচারের চেষ্টা করছে অনেকেই।