Cvoice24.com

দু’দিনের ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি, ভাসছে চট্টগ্রাম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৪, ২৯ জুলাই ২০২১
দু’দিনের ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি, ভাসছে চট্টগ্রাম

প্রায় গত ক’দিন ধরে তেজি রোদের দেখা মিলছে না চট্টগ্রামে। সাথে টানা তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে হচ্ছে তুমুল বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু’দিনে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে চট্টগ্রামে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জারি করা হয়েছে আরও এক দফা অতি ভারী বর্ষণের সতর্ক বার্তা। এমন টানা বৃষ্টির জেরে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নীচু এলাকা। প্লাবিত হয়েছে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, রাউজান, কক্সবাজার বিভিন্ন উপজেলাসহ চট্টগ্রাম নগরের বেশিরভাগ এলাকা।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বুধবার চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৪ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ মিলিমিটারে। এর আগের দু’দিনে টেকনাফ কক্সবাজার অংশেও হয়েছে এমন অতিভারী বর্ষণ। 

জোয়ার ভাটা আর অতিভারী বৃষ্টিপাতের জেরে চরম জলজট সৃষ্টি হয়েছে নগরের হালিশহর, বাকলিয়া, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, হামজারবাগ, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, চকবাজার, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, আগ্রাবাদ সিডিএসহ আরও বেশকিছু নীচু এলাকায়।

চট্টগ্রাম প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, ‘এখন যেমন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে কালও তেমন বৃষ্টি পড়বে। তাছাড়া আগামী ২৪ ঘন্টার ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাহাড় ধস হতে পারে।’ 

আবহাওয়াবিদরা জানান, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ৮৯ মিলিমিটার থেকে তার বেশি বৃষ্টিপাতকে অতিভারী বৃষ্টিপাত বলা হয়। 

এদিকে টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। নগরের বায়েজিদ লিংক রোডের ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম পাশে এবং ব্রিজ সংলগ্ন ফুটপাতসহ কিছু অংশে দেবে গেছে। ব্রিজের নিচের অংশেও দেখা গেছে ব্যাপক ধস নামার চিহ্ন। আশপাশে তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। এছাড়া নগরের খুলশী থানার বায়তুল আমান আবাসিক এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাহাড়ের নিচে থাকা দুইটি ঘর বিধ্বস্ত হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়