Cvoice24.com

রাসায়নিকে নয় জৈবিক পদ্ধতিতে মশা মারতে বললো চবির গবেষক দল

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ৩ আগস্ট ২০২১
রাসায়নিকে নয় জৈবিক পদ্ধতিতে মশা মারতে বললো চবির গবেষক দল

রাসায়নিক পদ্ধতিতে মশা দমন দ্রুত কার্যকর মনে হলেও এর প্রভাব স্বল্প মেয়াদের। শুধুমাত্র রাসায়নিক পদ্ধতিতে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ভুল। মশা নিয়ন্ত্রণে সফল দেশগুলো জৈবিক ও রাসায়নিক দমন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছে। তাই মশা থেকে রক্ষা পেত শুধু রাসায়নিকের উপর ভর নয়, সঙ্গে জৈবিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে সুপারিশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দল।

মঙ্গলবার (০৩ আগষ্ট) এ গবেষণা প্রতিবেদন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ ওমর ফারুক গবেষণাটি করেন।

গবেষকরা বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে আমাদেরকে পাঁচ ধরনের মশা নিধক ওষুধ দেওয়া হয়েছিলো। আমরা তা পরীক্ষা করে একটি কেমিক্যালে শতভাগ সফলতা পেয়েছি। হারবাল প্রোডাক্ট জাতীয় ওই কেমিক্যালের সাথে কেরোসিন ব্যবহার করলে শতভাগ লার্ভা ধ্বংস হচ্ছে। বাকি চার ধরনের কেমিক্যালে লার্ভা ধ্বংস হলেও মশার মৃত্যুহার কম।

গবেষকরা জানান, শহরের একটি জলাশয়ে অনেক ময়লা আবর্জনা ও দীর্ঘদিন পানি জমে থাকলেও তাতে কোনো লার্ভার অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি আমরা। পরে পরীক্ষা করে জানতে পারলাম ওই জলাশয়ে এমন কিছু মাছ আছে যা লার্ভা ধ্বংস করতে সক্ষম। সিটি করপোরেশনগুলো এসব মাছ শহরের বদ্ধ জলাগুলোতে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর ছেড়ে দিতে পারে। এতে করে এসব জলায় মশা ডিম ছাড়লে উৎপন্ন লার্ভা খেয়ে দেশি মাছগুলো মশা দমনে অনেক অবদান রাখবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়