Cvoice24.com

চট্টগ্রামে যে ১৫ স্পটে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ৩ আগস্ট ২০২১
চট্টগ্রামে যে ১৫ স্পটে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা

চট্টগ্রামে যে ১৫ স্পটে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা

নগরের ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে ৫৭টি স্পট থেকে নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করে এসব স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গত ৫ জুলাই থেকে এ জরিপ চালায় গবেষকরা। 

মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) এ গবেষণার প্রতিবেদন জমা দেন গবেষকরা।

যে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা:

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা মসজিদের পাশে, চান্দগাঁও ফরিদা পাড়া, কল্পোলোক আবাসিক এলাকার রোড় নং ১, ডিসি রোডের বাদশা মিয়া সওদাগর বাড়ি, ডিসি রোডের তুশার কলোনি, চাক্তাই প্রাইমারি স্কুলের পাশে, সদরঘাট থানার রেলওয়ে কলোনি, পশ্চিম মাতারবাড়ি মাঝিরঘাট রোড, আমবাগান বাস্তুহারা কলোনি, ১৩ নম্বর রেলওয়ে কলোনি, পাহাড়তলীর দুলালাবাদের সিডিএ মার্কেট, সাগরিকার জেলে পাড়া, সাগরিকার রুপালি আবাসিক এলাকার দক্ষিণ কলোনিতে, হালিশহর এ ব্লকে ও ফইল্লাতলী বাজারের দক্ষিণ কলোনিতে। এসব এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের।

এর আগে মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে অনুরোধ করে চসিক। এরপর ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়াকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। কিন্তু দুই দফা চসিকে বাজেট পেশ করেও পাশ না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেনি চবির গবেষকরা। সর্বশেষ গত ২২ জুন বাজেট পাশ হলে ৫ জুলাই থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে গবেষকরা। এরপর টানা ২৫ দিন ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরের ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষকরা। এতে ১৫টি স্পটে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস।

গবেষণাটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ ওমর ফারুক।

গবেষকদলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া সিভয়েসকে বলেন, ‘মশার আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতায় কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। এরপর ৫ জুলাই থেকে ওই কমিটি ৫৭টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এসব স্পট থেকে কর্তৃপক্ষ এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নিতে পারেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়