Cvoice24.com

পুলিশকে বাবুল আক্তারের অবিশ্বাস, মামলার নথিপত্র যাবে জুডিশিয়াল হেফাজতে 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৫২, ২৩ আগস্ট ২০২১
পুলিশকে বাবুল আক্তারের অবিশ্বাস, মামলার নথিপত্র যাবে জুডিশিয়াল হেফাজতে 

এক সময়ের দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার এখন তার সাবেক বাহিনীকে আর বিশ্বাস করছেন না। স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় যে মামলা করেছিলেন তার নথিপত্র পুলিশের কাছে থাকুক তা চাচ্ছেন না তিনি। এসব নথিপত্র বিচার বিভাগের হেফাজতের থাকার আবেদন করেছেন মামলার বাদি স্বামী থেকে আসামি বনে যাওয়া সাবেক এ পুলিশ সুপার। আদালতও মিতু হত্যায় বাবুলের করা মামলার সব নথিপত্র বিচার বিভাগের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

সোমবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান বাবুল আক্তারের আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘মামলার ডকেট (নথিপত্র) জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের হেফাজতে রাখার আদেশ দেন। এখন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যাকে কাস্টডিয়ান নির্ধারণ করবেন, তার অধীনে ট্রাঙ্কে সিলগালা করা অবস্থায় এসব নথিপত্রগুলো রাখা হবে।’

এর কারণ হিসেবে এ আইনজীবী বলেন, ‘এখন মামলার নথি কোর্টের জিআরও শাখায়  আছে, আবার পিবিআইয়ের তদন্ত করা একই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বাবুল আক্তার কারাবন্দি। ফলে পুলিশের কাছে যদি ডকেট থাকে তাহলে তা টেম্পারিং হতে পারে বলে ধারণা থেকে এই আবেদন করা হয়।’

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদরদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল। তার পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়েজামাইকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় বাদি থেকে আসামি বনে যান বাবুল আক্তার ; তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই। 

যদিও পিবিআইয়ের দেওয়া ফাইনাল রির্পোটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি আগামী সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। তখনই জানা যাবে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা বাবুল আক্তারের মামলাটির ভবিষ্যত কি হবে। 

এদিকে সোমবার পৃথক আবেদনে বাবলু আক্তারের করা ওই মামলাটিতে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের দেওয়া ১৬১ ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দি এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনের নকল চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহান সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন। 

স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে বাবুল আক্তার ১৩ মে থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ১৮ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট দুই দফায় তার পক্ষে করা জামিন আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর করে আদালত। গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়