Cvoice24.com

চট্টগ্রামে পূজা মণ্ডপে হামলায় গ্রেপ্তার ৮৪, ৬শ জনকে আসামি করে মামলা 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রামে পূজা মণ্ডপে হামলায় গ্রেপ্তার ৮৪, ৬শ জনকে আসামি করে মামলা 

চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় অন্তত ৬শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে কোতোয়ালী থানার এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে এজহার নামীয় ৮৪ জনের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দীন সিভয়েসকে বলেন, ‘জেএমসেন হলে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত ওই মামলায় ৮৪ জন আসামিকে ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলার নেপথ্যে কারা তা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বের করা হবে। আমরা দশজন করে আদালতের কাছে রিমান্ডে চাইবো। তখন তাদের আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে ঘটনার নির্দেশদাতা ও উদ্দেশ্য জানা যাবে।’ 

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে কিছু মুসল্লি পাশের জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ব্যানার ছেঁড়ার পাশাপাশি প্রতিমাকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে বলেও অভিযোগ করেছে পূজা কমিটি। এর প্রতিবাদে পূজা উদযাপন পরিষদ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রাখার পর প্রশাসনের আশ্বাসে সন্ধ্যা থেকে বির্সজন দেওয়া শুরু করে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ গেটে কিছু মুসল্লী কুমিল্লাকাণ্ডের প্রতিবাদে সমাবেশ করে। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে জেএমসেন হলের দিকে এগিয়ে যায়। মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বেস্টনি দেওয়া থাকলেও তারা তা ভেঙে তারা এগিয়ে যেতে থাকে। জেএমসেন হল প্রাঙ্গণের প্রধান ফটক আগে থেকে বন্ধ থাকায় তারা গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় তারা ভেতরে ঢিল ছোঁড়ে এবং পূজার জন্য সড়কে এবং আশপাশের দেয়ালে টাঙ্গানো বিভিন্ন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।

জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপে তখন বিভিন্ন বয়সী নারীরা পান, তেল ও সিঁদুর দিয়ে দেবী বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাইরে হট্টগোল শুরু হলে তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এ সময় টিয়ার শেল ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামলাকারীরা এ সময় পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রতি বছর ১১টা থেকে বিসর্জনের কাজ শুরু হয়। এবার সরকারি নির্দেশনা ছিল নামাজের জন্য বেলা আড়াইটার পর থেকে পূজা মণ্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য বের হওয়ার। সেজন্য আমরা মণ্ডপে অপেক্ষা করে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করছিলাম। ঠিক এ সময় আমাদের এখানে হামলা হয়েছে।’ এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা প্রতিমা বিসর্জন স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়