চমেকের ছাত্রদের বিনা অনুমতিতে পুলিশকে তল্লাশির অনুমতি, করা হচ্ছে হোস্টেল খালি
সিভয়েস প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের পর বন্ধ ঘোষিত কলেজ ও ছাত্রাবাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুলিশ প্রশাসনের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শনিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সৃষ্ট উত্তেজিত পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পুলিশকে হল তল্লাশিসহ ছাত্রদেরও তল্লাশি করার অনুমতি দেয়া হয়।
চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সমস্ত ক্যাম্পাস পুলিশ প্রশাসনের উপর ন্যস্ত করা হল। পরিস্থিতি অনুকূলে আনার জন্য পুলিশ প্রয়োজনবোধে যে কোন সময় যে কোন ছাত্রকে বা তাদের কক্ষ তল্লাশি করিতে পারবে। তার জন্য কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির কোন প্রয়োজন হবে না।’
জানতে চাইলে সিএপিম উপ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক সিভয়েসকে বলেন, ‘চমেক কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে হোস্টেল খালি করতে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রিন্সিপালকে সাথে নিয়ে হল খালি করছি।’
এদিকে সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, 'চমেক হাসপাতালে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।'
এরআগে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় এবং আজ শনিবার সকাল নয়টায় দু দফায় চমেকে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন জন আহত হয়। তারা হলেন— মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং আকিব হোসেন (২০)।
এদের মধ্যে আকিব শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসন চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আর মাহফুজ ও নাইমুল ইসলাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সাথে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সাড়ে তিনটায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার।
তিনি বলেন, কলেজের কাউন্সিলিং বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে ছাত্রবাসও আজ সন্ধ্যার মধ্যে খালি করতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে ডা.সাহানা বলেন, তাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
