Cvoice24.com

পরীর পাহাড়ের বিরোধ : আদালতে গড়াল জেলা প্রশাসন-আইনজীবী সমিতির ফ্যাসাদ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ৭ নভেম্বর ২০২১
পরীর পাহাড়ের বিরোধ : আদালতে গড়াল জেলা প্রশাসন-আইনজীবী সমিতির ফ্যাসাদ 

চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়।

চট্টগ্রামের আদালত পাড়া হিসেবে পরিচিত ‘কোর্ট হিল’ নাকি ‘পরীর পাহাড়’ হবে এই পাহাড়ের নাম। তা নির্ধারণে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। এতে ‘কোর্ট হিল’ নামের পক্ষে অতীতের সরকারি নথির সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করে ‘পরীর পাহাড়’ নাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে আইনজীবী সমিতি।  

এই পাহাড় নিয়ে আইনজীবী সমিতি ও জেলা প্রশাসনের বিরোধের মধ্যে এই প্রথম বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো। আদালত আইনজীবী সমিতির অভিযোগ আমলে নিয়ে তিন দিনের মধ্যে বিবাদীদের লিখিত জবাব দিতে বলেছেন। 

রোববার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম সহকারী জজ ইসরাত জাহান নাসরিনের আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে মামলাটি করেছেন সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন।

এতে বিবাদি করা হয়েছে— চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, ‘আপনি ব্রিটিশ আমলের নথিপত্র দেখলে দেখবেন, ব্রিটিশ সরকার এই পাহাড়টাকে নিয়েছিল কোর্ট বিল্ডিং করার জন্য। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত লাল ভবন যেটি বর্তমান ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন সেটিই কোর্ট বিল্ডিং ছিল। পরবর্তীতে কালেক্টর অফিস আনা হয় সেখানে। পরে সেটির সাথে চন্দপুরা থেকে ডিসি অফিসকে এনে একীভূত করা হয়। পাহাড়টিতে আদালতে কেন্দ্র করে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে আর তা কোর্ট হিল হিসেবে পরিচিত। সেটাকেই ডিসি ইনটেনশনালি পরীর পাহাড় নাম দিয়ে বিভ্রান্ত তৈরি করছেন। সেজন্য আমরা ডিসিসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করে পরীর পাহাড় নাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। আদালত তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলেছেন।’ 

যদিও মামলা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, ‘মামলার বিষয় নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। তা আদালতের বিচারধীন বিষয়।’ 

তবে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরীর পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আগের রূপে ফিরয়ে আনতে কাজ করছে। যাতে মানুষ প্রাণ ভরে পরীর পাহাড়ে উঠে নিশ্বাস নিতে পারে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি। খুব শিগগিরিই তা দৃশ্যমান হবে।’ 

উল্লেখ্য, পরীর পাহাড়ে আইনজীবীদের বর্তমান পাঁচটি ভবনের পাশে আরও দুটি নতুন ভবন করা নিয়ে আইনজীবী সমিতি ও জেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। জেলা প্রশাসন কোন ভাবেই নতুন কোন ভবন নির্মাণতো করতে দিবেই না। সেই সাথে আগের ভবনগুলোও উচ্ছেদ করতে চায়। তাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয় খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।  এরপর পরীর পাহাড়কে প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে সংরক্ষণে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর একটি কমিটিও করে দেয়।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়