Cvoice24.com

মিতু হত্যা মামলার নথির ফটোকপিও জুডিশিয়াল হেফাজতে চান বাবুল আক্তার, আদালতের সায় 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩০, ১৬ নভেম্বর ২০২১
মিতু হত্যা মামলার নথির ফটোকপিও জুডিশিয়াল হেফাজতে চান বাবুল আক্তার, আদালতের সায় 

ফাইল ছবি

এক সময়ের দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার এখন তার সাবেক বাহিনীকে আর বিশ্বাস করছেন না। যে পিবিআইতে পোস্টিং হওয়ার কথা ছিল সাবেক এসপি বাবুলের তিনিই কিনা মামলার মূল ডকেটও পিবিআই হেফাজত থেকে জুডিশিয়াল হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছেন। আদালতও তাতে সায় দিয়েছেন। এবার মূল ডকেটের পর ফটোকপিও জুডিশিয়াল হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করে সফল হয়েছেন বাবুল আক্তার। তারও আগে তদন্ত সংস্থা হিসেবে পিবিআই ও তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন করেন। 

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত বাবুল আক্তারের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

গত ২৩ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত মামলার সিডি (কেস ডায়েরি) এর মূল কপি জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য আদেশ হয়েছে। মামলার সিডি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ঘসামাজা, টেম্পারিং অথবা সরিয়ে ফেলার আশংকা করা হয়েছে। এখন আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এবার আইনগতভাবে যা করার তা করবেন।’

সম্প্রতি বাবুল আক্তারের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট দিয়ে পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। অর্থাৎ মিতু হত্যায় বর্তমানে মিতুর বাবার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা স্বামী বাবুল আক্তারের করা মামলার পাশাপাশি তার বাবা মোশাররফ হোসেনের মামাটিও চলছে। 

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদরদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল। তার পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়েজামাইকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় বাদি থেকে আসামি বনে যান বাবুল আক্তার; তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই। 

যদিও পিবিআইয়ের দেওয়া ফাইনাল রির্পোটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি আগামী সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। তখনই জানা যাবে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা বাবুল আক্তারের মামলাটির ভবিষ্যত কি হবে। 

এদিকে সোমবার পৃথক আবেদনে বাবলু আক্তারের করা ওই মামলাটিতে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের দেওয়া ১৬১ ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দি এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনের নকল চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহান সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন। 

স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে বাবুল আক্তার ১৩ মে থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ১৮ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট দুই দফায় তার পক্ষে করা জামিন আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর করে আদালত। গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়