Cvoice24.com

কাউন্সিলরদের জনসম্পৃক্ত হতে বললেন মন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২৭ নভেম্বর ২০২১
কাউন্সিলরদের জনসম্পৃক্ত হতে বললেন মন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

উন্নয়ন মানে শুধু অর্থবরাদ্দ নয় মন্তব্য করে কাউন্সিলরদের জনসম্পৃক্ত হতে বলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধুমাত্র আমরা কিছু অর্থ বরাদ্দ দেবো আর এর মাধ্যমে উন্নয়ন হবে এটা কিন্তু ঠিক না। উন্নয়ন বলতে কতটুকু সুশাসন কায়েম করতে পেরেছেন। যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তারা কতটুকু জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রাখেন, কতটুকু তারা এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। কতটুকু অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন— এরকম বিষয়গুলোকে যদি মাথায় না নেওয়া হয় তাইলে সত্যিকার অর্থে আমরা বুঝতে পারিনা আমাদের উন্নয়নটা কিসে হবে। পৃথিবীতে একসময় কোনো উন্নয়ন ছিল না, কোনো পাকারাস্তা ছিল না। কিন্তু মানুষ এগুলো তৈরি করছে। আমাদের কিছু নাই এজন্য আমাদের হবেনা এটা ঠিক না।’

শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরের মাইজপাড়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে কোনো ম্যাজিক নাই, সরকারের কোনো যন্ত্র নাই টাকা তৈরি করার এবং কাজ করানোর জন্য। কাজও জনগণ করে, টাকাও জনগণ দেয়। সরকার রাজস্ব আকারে গ্রহণ করে। অর্থাৎ আপনি ১০টাকা দেন সরকার আপনাকে ১০ হাজার টাকা লাভ করে দিবে। এটাই হলো সরকারের ম্যাকানিজম। এই ম্যাকানিজমের মাধ্যমে সার্বিকভাবে দেশের উন্নতি হয়।

সিটি করপোরেশনের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের গাড়ি রেজিস্ট্রেশন নেয় না, এটা কেমন কথা হলো? সিটি করপোরশেন কি রাষ্ট্রের বাইরের, সংবিধানের ঊর্ধ্বে? সিটি করপোরেশেনের গাড়ির কেন রেজিস্ট্রেশন হবে না। '

সিটি করপোরেশনকে শহরের মালিক আখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু সিটি করপোরেশন দেখতে হবে। সিটি করপোরেশন শহরের মালিক। এই গর্ভমেন্ট, সেই গর্ভমেন্ট, সেই অথরিটি সবার সাথে কো-অপারেট করতে হবে। সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। সবাই একসাথে মিলে কাজ করতে হবে। কোথায় কালভার্ট লাগবে, কোথায় ব্রিজ লাগবে, কোথায় জলাশয় সৃষ্টি করতে হবে তা ঠিক করে যার যে কাজ প্রত্যেকের কাজ ঠিকভাবে করতে হবে। কোথাও কোনো কাজের সময় অতিরিক্ত ক্ষেপণ করা যাবেনা। কারণ আমরাতো অনেকদূরে যাবো। এখন একটা কাজ নিয়ে যদি অনেক সময় নষ্ট করি তাইলে বাকিকাজ কখন হবে! এই কাজটা যেমনে হবে কাজটা গুণগত মানসম্পন্ন হইতে হবে।'

মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয় এবং চট্টগ্রামকে কনসিডার করা হয় এজ এ গেটওয়ে অব ইকোনমি। অর্থনীতি যেখান থেকে সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করে। তো এরকম একটি গর্বিত জায়গা মযার্দাপূর্ণ স্থান হবে এ প্রত্যাশাটা একজন নাগরিক হিসেবে আমার থাকাটাই সঙ্গত। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এ বিষয়টা অনুধাবন করেন। এখন এ অনুধাবন আমি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করলে হবেনা। করতে হবে চট্টগ্রামে বসবাসরত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণকে। আপনারা যারা চট্টগ্রামে বসবাস করেন এবং যারা নাকি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ আছেন তারা যদি একইভাবে অনুধাবন না করেন অথবা আপনাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব ওই মাত্রানুযায়ী পালন না করেন তাইলে চট্টগ্রামবাসীর উন্নয়নটা স্বাভাবিকভাবে ব্যহত হবে।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। বক্তব্য দেন বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন আরা চৌধুরী, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়